বাংলাদেশ বিমানের ময়ূরপঙ্খী উড়োজাহাজটি ছিনতাই চেষ্টার ঘটনায় উদ্ধার পিস্তলটি ‘প্লাস্টিকের অকেজো খেলনা পিস্তল’ বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডি’র ফরেনসিক বিভাগের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম) মো. শহীদুল্লাহ। বুধবার (১৩ মার্চ) সিআইডি থেকে প্রতিবেদনটি কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মো. শহীদুল্লাহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘উদ্ধারের পরপরই আমরা জানিয়েছিলাম, আলামতটি খেলনা পিস্তল হবে। তারপরও এটি আমরা ব্যালিস্টিক পরীক্ষার জন্য সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে পাঠিয়েছিলাম। বুধবার তারা প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনে অস্ত্রটিকে তারা প্লাস্টিকের অকেজো খেলনা পিস্তল হিসেবে উল্লেখ করেছেন।’
প্রতিবেদন বলা হয়, ‘উদ্ধার আলামতটি প্লাস্টিকের অকেজো খেলনা পিস্তল। এ ধরনের পিস্তলের মধ্যে রাবারের ছোট ছোট বল ব্যবহার করে গুলি করা হয়। এই বল নিক্ষেপের সময় মৃদু শব্দ হয়। এই পিস্তলে কোনও ধরনের কার্তুজ বা গুলি বসিয়ে ফায়ার করা সম্ভব নয়। ফায়ারের সময় পিস্তলটি থেকে যে ধরনের শব্দ হওয়ার কথা, তাও হয় না। তাই এটি অকেজো খেলনা পিস্তল।’
পিস্তলটির গায়ে ‘গান সিরিজ ওসাকা, আমান ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যান্ড মেইড ইন বাংলাদেশ’ লেখা আছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিজি-১৪৭ ফ্লাইটটি ছিনতাই চেষ্টায় ব্যবহৃত পিস্তলটি জব্দ করে নগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। পরে সেটি পরীক্ষার জন্য সিআইডি’র কাছে পাঠানো হয়।
প্রসঙ্গত, ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৫টা ১৩ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ময়ূরপঙ্খী উড়োজাহাজটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। উড্ডয়নের ১৫ মিনিট পর উড়োজাহাজটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা হয়। পাইলট বিষয়টি চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ারকে জানালে, কড়া নিরাপত্তায় বিমানটি ৫টা ৪১মিনিটে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে। অবতরণের পরপরই যাত্রীদের জরুরি দরজা দিয়ে বের করে আনা হয়। পরে বিমানটিতে কমান্ডো অভিযান চালানো হলে, পলাশ আহমেদ নামে ২৫ বছর বয়সী এক যুবক নিহত হন।