ভোলায় প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর জেলার সকল রুটের বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছে বাস শ্রমিক ইউনিয়ন। সোমবার বিকালে বাস মালিক সমিতি, বাস শ্রমিক ইউনিয়ন ও সিএনজি মালিক সমিতি এবং সিএনজি শ্রমিকদের নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জরুরি মতবিনিময় সভায় বসেন ভোলা জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান। সভা শেষে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভোলা জেলা বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. মিজানুর রহমান বাস ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসক আমাদের বাস মালিক সমিতি, বাস শ্রমিক ইউনিয়ন ও সিএনজি মালিক সামিতি এবং শ্রমিকদের নিয়ে জরুরি সভা করেন। আমরা বাস শ্রমিক ও সিএনজি শ্রমিক দুই পক্ষ মিলে গেছি। আর কোন মারামারি বা হাতাহাতি হবে না। আমরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছি। এ ছাড়াও কিছুক্ষণের মধ্যে বাস শ্রমিকরা কাজে যোগদান করবেন এবং বাস চলাচল শুরু হবে।’
ভোলা জেলা প্রশাসক মো: আজাদ জাহান বলেন, ‘জরুরি সভায় উভয়পক্ষের কথা শুনেছি। উভয়পক্ষকে মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং বাস শ্রমিকরা তাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন।’
এদিকে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বিড়ম্বনায় পড়েন ভোলা-চরফ্যাশন, ভোলা-দৌলতখান, ভোলা-তজুমদ্দিন, ভোলা-ভেদুরিয়া ও ভোলা-ইলিশাসহ ৫টি রুটের হাজার হাজার যাত্রীরা। সকাল থেকে চরম বিপাকে পড়েন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবী ও দূরদূরান্তের যাত্রীরা। বাস বন্ধ থাকায় সব ধরনের যাত্রীরা বিকল্প হিসেবে অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসে করে চলাচল করেছেন। এতে সময় ও বেশি টাকা গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। এ ছাড়াও বাস চলাচল বন্ধ থাকার সুযোগে ওই সব যানবাহনের অতিরিক্ত ভাড়াও আদায় করছেন বলেও অভিযোগ সাধারণ যাত্রীদের।
এর আগে গতকাল রবিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা থেকে যাত্রী নিয়ে ভোলার উদ্দেশে রওনা করে যাত্রীবাহী বাস অন্যন্যা পরিবহন। চরফ্যাশন বাজারের সদর রোডে যাত্রী উঠানোকে কেন্দ্র করে সিএনজি ও বাসশ্রমিকদের মধ্যে হাতাহাতি হলে উভয়পক্ষেরই শ্রমিকরা আহত হন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে ভোলা জেলা বাস শ্রমিক ইউনিয়ন।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের হলরুমে জরুরি মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, নৌবাহিনীর কর্মকর্তা, সরকারি বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা, জেলা বাস মালিক সমিতি, সিএনজি মালিক সমিতির নেতারা ও বাসশ্রমিক, সিএনজিশ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।