পটুয়াখালীর দুমকিতে নিজ ঘরে খুন হওয়া ৮০ বছর বয়সী বৃদ্ধার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ইমাম হোসেন সিকদার।
পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালের চিকিৎসক ইমাম হোসেন জানান, রবিবার বিকালে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ওই নারীর মরদেহের ময়নাতদন্ত করেছেন তিনি। এ সময় তার শরীরে ধর্ষণের আলামত পেয়েছেন।
রবিবার সকালে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। তার পুত্রবধূ ও স্বজনদের অভিযোগ, গত শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে মনির হোসেন (৪৮) নামের ওই বৃদ্ধার দূরসম্পর্কের এক নাতি বসতঘরটিতে প্রবেশ করে। এরপর ওই বৃদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এর আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে মনিরকে ওই দিন আটক করে পুলিশ। পরে দুমকি থানায় স্বজনদের করা হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন বলেন, ‘ময়নাতদন্তে যদি ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়, তবে হত্যার ধারার সঙ্গে ধর্ষণের একটি ধারায় আসামিকে অভিযুক্ত করা হবে।’
দুমকি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ওই বৃদ্ধার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে চাওয়া হয়েছে। তারা প্রতিবেদন দিলেই আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেবো।’
পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক দিলরুবা ইয়াসমীন জানান, যে চিকিৎসক ওই বৃদ্ধার ময়নাতদন্ত করেছেন, তিনি প্রতিবেদন জমা দিলেই থানা পুলিশের কাছে পাঠানো হবে।
ওই বৃদ্ধার পুত্রবধূ জানান, গত শনিবার গভীর রাতে মনির তাদের ঘরের কাছে গিয়ে পানি খাওয়ার কথা বলে দরজা খুলতে বলে। এ সময় তিনি (পুত্রবধূ) দরজা না খুললে মনির ঘরের পেছনের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে। এরপর তার (পুত্রবধূ) কাছে টাকা দাবি করে। তিনি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার ঘুমন্ত স্বামীকে পিটিয়ে জখম করে মনির। এতে তিনি (পুত্রবধূ) ভয় পেয়ে নিজের প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পাশের একটি ঘরে আশ্রয় নেন। ঘটনার সময় মনিরের আচরণ অস্বাভাবিক ছিল। তার ধারণা, মনির ওই সময়ে মাদকাসক্ত ছিল। এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর মনির ঘর থেকে চলে গেলে তিনি ঘরে ফিরে আসেন। এসে দেখতে পান, তার শাশুড়ি মৃত ও বিবস্ত্র। তার ধারণা, শাশুড়িকে ধর্ষণের পর পিটিয়ে হত্যা করেছে মনির। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।