ভোলায় জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে জামাল উদ্দিন হাওলাদার (৫৫) নামের এক বিএনপি নেতা নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) দুপুরে সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের কুঞ্জপট্টি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই বিএনপি নেতা সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
নিহত জামাল হাওলাদার ভেলুমিয়া ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ছিলেন। সংঘর্ষে জড়িতরা সবাই বিএনপির সমর্থক। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের আট জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুঞ্জপট্টি মৌজায় মো. ইব্রাহীম রাঢ়ি নামের এক ব্যক্তি ৫ শতক জমি কেনেন। তবে পাশের জমির মালিক মো. আলম ব্যাপারী ওই জমি তার বলে দাবি করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কয়েক বছর ধরে বিরোধ চলছে। অনেকবার সংঘর্ষ-সংঘাত হয়েছে। সোমবার ঈদের দিনেও এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে দুই পক্ষ লাঠিয়াল ভাড়া করে জমি দখল করতে যায়। দুই পক্ষের সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে গুরুতর আহত হন জামাল হাওলাদার। বিকালে বরিশালে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের আট জন আহত হন। তাদের বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ভেলুমিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘জামাল হাওলাদার দুই পক্ষের সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ইব্রাহীম রাঢ়ির ছেলে তার মাথায় প্রথম আঘাত করেন। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে স্থানীয় লোকজন ও বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করেছেন।’
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ হাসনাইন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় কোনও পক্ষ অভিযোগ দেয়নি। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’