বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেছেন, ‘দেশ স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা মুক্ত হয়েছে। কিন্তু গণতন্ত্র বলতে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার ক্ষমতায় এসে রাষ্ট্র সংস্কার করবে, এ জন্য সময়ের প্রয়োজন।’
বর্তমানে দেশ পরিচালনাকারী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘তারাও বেশিদিন অনির্ভরযোগ্য হয়ে থাকতে পারবে না। সবচেয়ে বড় অধিকার ভোটের ও বেঁচে থাকার অধিকার এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা- একটা ধাপ পার হয়েছি। বাকিগুলো এ সরকারের সহায়তায় বাস্তবায়ন করা হবে।’
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বরিশাল মহানগর ও জেলা বিএনপির উদ্যোগে বান্দরোড প্লানেট ওয়ার্ড শিশুপার্কের সামনে বিশ্বগণতন্ত্র দিবসে আয়োজিত বিভাগীয় সমাবেশে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সেলিমা রহমান বলেন, ‘গত ১৬ বছরে আমাদের অগণিত নেতাকর্মীকে হত্যা ও গুম করা হয়েছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে বছরের পর বছর হয়রানি করা হয়। তাদের পরিবারের জন্য দল থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে পুনর্বাসন করা হবে। একইসঙ্গে যারা এ গুম ও হত্যার সঙ্গে জড়িত তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।’
এর আগে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে রাষ্ট্র সংস্কার করে জনগণের অধিকার, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবো। কথা বলার অধিকার, ভোটের অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকারের জন্য গত ১৭ বছর ধরে আন্দোলন করে আসছি। সেই আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আজকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের স্বৈরশাসকের দুঃশাসন থেকে রক্ষা পেয়েছে দেশ। আমরা বলতে চাই, আমরা জনগণের জন্য কাজ করছি, জনগণকে রক্ষার জন্য কাজ করছি।’
বিএনপির এই নেত্রী বলেন, ‘গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য নির্বাচন যেমন দরকার, তেমনিভাবে রাষ্ট্র সংস্কার, প্রশাসন, বিচারবিভাগ, ভোটের অধিকার এই তিনটি জিনিস সংস্কার করে এই সরকার যাতে নির্বাচন দেয়- এটি হচ্ছে আমাদের প্রথম মেসেজ।’
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। সমাবেশ শেষে বের হওয়া শোভাযাত্রা নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশস্থলে এসে শেষ হয়।