ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না ভারতে যাওয়ার পথে মারা গেছেন। শুক্রবার মধ্যরাতে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং পাহাড়ে ওঠার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
ইসহাক আলী খান পান্নার বাড়ি পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার চিড়াপাড়া ইউনিয়নের বেকুটিয়া গ্রামে। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। একসময় দৈনিক বাংলার বাণীতে সাংবাদিকতা করেছেন। পিরোজপুর প্রেসক্লাবের সহ-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসহাক আলীর ভাগনে কাউখালী উপজেলার চিড়াপারা পারসাতুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লাইকুজ্জামান তালুকদার মিন্টু। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমার মামা শুক্রবার রাতে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং পাহাড় থেকে পা পিছলে পড়ে যান। পরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তবে কখন কীভাবে তিনি শিলং পৌঁছালেন, এ বিষয়ে নিশ্চিত নই। ৫ আগস্ট থেকে পরিবারের সঙ্গে তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।’
ইসহাক আলী খান পান্নার বড় ভাইয়ের শ্যালক জসিম উদ্দিন খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তিন দিন আগে ইসহাকের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল আমার। এরপর থেকে তার সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ করা যায়নি। তবে সিলেটের তামাবিল সীমান্ত দিয়ে তার ভারতে যাওয়ার কথা ছিল। এভাবে তার মৃত্যু মানা যায় না।’
ইসহাক আলীর স্ত্রী আইরীন পারভীন বাঁধন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল মাসে মারা যান। আইরিন সরকারের উপসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শামসুন্নাহার হলের ভিপি ছিলেন। এই দম্পতির ইফতেশাম আফতারি আরিয়ান নামে এক ছেলে রয়েছে। ১৯৯৪ সালে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ইসহাক। ২০১২ সালের সম্মেলনের পর ইসহাক আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক হন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ইসহাক আলী পিরোজপুর-২ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন পেলেও জোটের সমীকরণে বাদ পড়েন। আসনটির সাবেক এমপি আনোয়ার হোসেন মঞ্জু জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচন করেন।
স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, ভারতে যাওয়ার সময় ইসহাক আলীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতা ছিলেন। তার বাড়ি চট্টগ্রামে। তিনি এখন কোথায় আছেন, সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।