ঝালকাঠি সরকারি হরচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়ে আফিয়া আক্তার (১৪) নামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রী শ্রেণিকক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সোমবার (১ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আফিয়া আক্তার ঝালকাঠি সদর উপজেলার সুগন্ধা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এসএম ওবায়দুল্লাহ আমিন ও জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের স্বাস্থ্য সহকারী কুরছিয়া খাতুনের মেয়ে। উপজেলার গাভারামচন্দ্রপুর গ্রামের ওবায়দুল্লাহ পরিবার নিয়ে সদর উপজেলা কোয়ার্টারে থাকেন।
পুলিশ ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিদ্যালয়ের গণেশ ভবনের চারতলার ৪০৩ নম্বর কক্ষে প্রবেশ করে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে আফিয়া।
আফিয়ার সহপাঠী ও বাবার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আফিয়ার সঙ্গে ঝালকাঠি সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের দশম শ্রেণির এক ছাত্রের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জেনে রবিবার রাতে মেয়েকে শাসন করেন বাবা। সোমবার সকালে স্কুল চলাকালীন সহপাঠীরা ওই প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে হাসিঠাট্টা করে। এ নিয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। এ ঘটনায় শিক্ষকদের কাছে বিচার চেয়ে অভিযোগ দেয় আফিয়া। কিন্তু বিচার না পেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ায় আত্মহত্যা করেছে দাবি বাবার।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সকালে বিদ্যালয়ে আসে ওই ছাত্রী। পরে শ্রেণিকক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্বজনরা জানিয়েছেন, প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে হাসিঠাট্টা করায় এমন ঘটনা ঘটেছে।’