নীলফামারীর ইপিজেড এলাকায় দুটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে একটি ঘটনায় সুইটি আখতার (২২) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং তার ছোট বোন তাইকিয়া (১৯) দগ্ধ হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। দুপুরে অপর এক ঘটনায় দুই জন দগ্ধ হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বজনরা জানিয়েছেন, ইপিজেড এলাকায় বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর দুই বোন সুইটি ও তাইকিয়াকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। দুপুর দেড়টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বড় বোন সুইটি মারা যান। ছোট বোন তাইকিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
মৃত সুইটি আখতার নীলফামারী মহিলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। গুরুতর আহত তাইফিয়া ডোমার সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে স্নাতক ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তারা ডোমারের বাবুল হোসেন ও ফাতিমা দম্পতির মেয়ে। নীলফামীর ইপিজেড মোড়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। সেখানে থেকে তারা ইপিজেডে কাজ করে পড়ালেখা করতেন বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।
এদিকে, বেলা ১২টার দিকে নীলফামারীর ইপিজেডের ভেতরে সনি বিডি লিমিটেড নামে কারখানায় একটি মেশিনে বিস্ফোরণে কর্মচারী লিটন চন্দ্র রায় ও রবিউল ইসলাম দগ্ধ হন। তাদেরও বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহীন শাহ বলেন, ‘দগ্ধ সুইটি মারা গেছেন। তার শরীরের ১০০ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল। তার ছোট বোন তাইফিয়ারও শতভাগ পুড়ে গেছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন। এ ছাড়াও অপর ঘটনায় দগ্ধ লিটন ও রবিউলের ৩০ ভাগ পুড়েছে। আমরা চিকিৎসাসেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।’