সুনামগঞ্জের পাটলাই নদীর নজরখালীর বাঁধ ভেঙে দেশের অন্যতম মিঠাপানির মাছের প্রজনন ক্ষেত্র টাংগুয়ার হাওরে পানি প্রবেশ করেছে।
স্থানীয়রা জানান, আজ শনিবার দুপুরে পাটলাই নদীর নজরখালি বাঁধ ভেঙে হাওরে পানি প্রবেশ করে। পুরো টাংগুয়ার হাওর পানিতে পরিপূর্ণ হতে কমপক্ষে ১৫ দিন সময় লাগবে। হাওরের ফসল কাটা শেষ হয়ে যাওয়ায় বাঁধ টিকিয়ে রাখার কোনও প্রয়োজন ছিল না। তাই মাছের উৎপাদন ও প্রজননের জন্য এ সময় হাওরে পানিপ্রবাহ বাড়ানোর প্রয়োজন। হাওরের পানিপ্রবাহের দুটো বাঁধের মধ্যে একটি দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের গোলাবাড়ি গ্রামের নুরুল হক বলেন, ‘হাওরের ধান কাটা শেষ। বাঁধ ভেঙে পানি ঢোকায় ফসলের কোনও ক্ষতি হয়নি। তবে পানি সংকটে থাকা টাংগুয়ার হাওরের মাছের অভয়াশ্রমে পানির পরিমাণ বাড়বে।’
ছিলানিতাহিরপুর গ্রামের আব্দুল খালেক বলেন, ‘এ বছর বৃষ্টিপাত কম হয়েছে, তাই হাওরের জলাশয়ে পর্যাপ্ত পানি ছিল না। পাটলাই নদীর পানি ঢোকায় হাওরে পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক হবে। ধান কেটে ফেলায় ফসলের কোনও ক্ষতি হয়নি।’
জেলা খামারবাড়ির উপপরিচালক মোস্তফা ইকবাল আজাদ বলেন, ‘এই হাওরে ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। ইতোমধ্যে হাওরের ধান কাটা শেষ হয়ে গেছে। বাঁধ ভেঙে ফসলের কোনও ক্ষতি হয়নি, তবে হাওরে পানিপ্রবাহের ফলে মাছের উৎপাদনে সহায়ক হবে।’
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হাসেম বলেন, ‘এটি স্থানীয় কৃষকদের দেওয়া একটি বাঁধ। হাওরের ফসল কাটা শেষ হয়ে যাওয়ার এই বাঁধের উপযোগিতা শেষ। তাই কৃষকরা মাছ ধরার জন্য বাঁধের কোনও তদারকি না করায় সেটি ভেঙে হাওরে পানি প্রবেশ করেছে। এতে টাংগুয়ার হাওরের মৎস্য অভয়াশ্রমে পানির পরিমাণ বাড়বে। ফলে মাছের উৎপাদনও বাড়বে।’