ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ১০ গ্রামে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র রোজা পালন শেষে রবিবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হবে।
জানা যায়, জেলার বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের আংশিক মানুষ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে পবিত্র রোজা পালন শুরু করেন। তাই অন্য এলাকার একদিন আগে ১০ গ্রামের লোকজন ঈদ উদযাপন করে থাকেন। এ ছাড়া আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের শুকুরহাটা, ইছাপাশাসহ কিছু মানুষ একই সঙ্গে এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন। স্থানীয়রা সহস্রাইল দায়রা শরিফ, রাখালতলি ও মাইটকুমরা মসজিদসহ তিনটি জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করবেন। রবিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে ১১টার মধ্যে পর্যায়ক্রমে জামাত শেষ হবে।
শনিবার (২৯ মার্চ) রাত পৌনে ১০টার দিকে স্থানীয় সহস্রাইল দায়রা শরিফের সমন্বয়কারী কাঁটাগড় গ্রামের বাসিন্দা মাহিদুল হক বলেন, ‘সৌদি আরবে রবিবার ঈদ হচ্ছে বিষয়টি জানতে পেরেই আমরা আগামীকাল ঈদুল ফিতর উদযাপন করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরীফ ও সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের কাটাগড়, সহস্রাইল, দরিসহস্রাইল, মাইটকোমড়া, রাখালতলি গঙ্গানন্দপুরসহ ১০ গ্রামের আংশিক লোকজন আমরা একদিন আগে রোজা শুরু করেছিলাম। আমাদের এখানে আলফাডাঙ্গা উপজেলারও কিছু লোকজন নামাজ আদায় করবেন।’
এ ব্যাপারে স্থানীয় শেখর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও সহস্রাইল পাবলিক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইস্রাফিল মোল্লা বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের আংশিক মানুষ দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে আগাম রোজা ও দুটি ঈদ উদযাপন করে থাকেন। তারা চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরীফের মুরিদান। শেখর ইউনিয়নের সহস্রাইল দায়রা শরিফ, রাখালতলি ও মাইটকুমরা মসজিদসহ তিনটি জামায়াতে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানতে পেরেছি।’