ঝালকাঠি সদর উপজেলার কেওড়া ইউনিয়নে ঈদুল ফিতরের ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এ চাল বিতরণ করা হয়। ওইদিনই এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে সরকারের দেওয়া ভিজিএফ কার্ডের চাল প্রতি পরিবারের জন্য ১০ কেজি করে বরাদ্দ থাকলেও দেওয়া হয়েছে কম। কেউ কেউ ৮-৯ কেজি করে চাল পেয়েছেন। তা ছাড়া বিতরণের ক্ষেত্রেও স্বজনপ্রীতি দেখানো হয়েছে। ইউনিয়ন ট্যাগ কর্মকর্তা জনস্বাস্থ্য বিভাগের প্রকৌশলী অমিত কুমার কর্মকার এ চাল বিতরণের সময় কেওড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল মান্নান লাভু উপস্থিত ছিলেন।
পরিষদে চাল নিতে আসা ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হেলালউদ্দিন বলেন, ‘আমি রোজায় রোদের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে কষ্ট করে চাল নিই। পরে বাড়িতে গিয়ে সন্দেহ হলে স্থানীয় একটি দোকানে গিয়ে মেপে দেখি মাত্র ৮ কেজি ৬২৪ গ্রাম। অথচ ১০ কেজি চাল পাওয়ার কথা ছিল।’
তবে ইউপি সচিব হেমায়েত উদ্দিন হিমু এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘চাল আনার সময় ঘাটতি থাকায় ১০ কেজি দেওয়ার কথা থাকলেও ৯.৫ কেজি করে দেওয়া হয়েছে। এর কম হওয়ার কথা না। এ বছর ইউনিয়নে মোট ৬৭৬টি পরিবারের মধ্যে চাল বিতরণ করা হয়েছে। ট্যাগ কর্মকর্তা, স্থানীয় বিএনপি নেতা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সামনেই চাল বিতরণ করা হয়েছে। এখানে কোনও ধরনের অনিয়ম হয়নি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঝালকাঠি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, ‘কেওরা ইউনিয়নের ভিজিএফ কার্ডের চাল বিতরণের অনিয়মের অভিযোগ আমি শুনেছি। খোঁজ নিয়ে দেখবো।’