চট্টগ্রাম ভেন্যুতে এখন চলছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ক্রিকেট খেলা। সেখানে লিগের অন্য দলগুলোর সঙ্গে খেলছে ‘দুর্বার রাজশাহী’। রাজশাহীতে বিপিএলের ভেন্যু না থাকায় টেলিভিশনের পর্দায় খেলা দেখছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। বিপিএলের এবারের আসরের মাঝামাঝি সময়ে সরাসরি দেখানোর জন্য রাজশাহীতে প্রথমবারের মতো নিয়ে আসা হয়েছে ট্রফি। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) রাজশাহী নগরের আলুপট্টি মোড়ে বিপিএল চ্যাম্পিয়নস ট্রফি প্রদর্শনীর জন্য উন্মোচন করা হয়।
ট্রফি প্রদর্শনী উন্মোচন করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা ও সাবেক সিটি মেয়র মিজানুর রহমান মিনু। সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা এই ট্রফি দেখতে ভিড় করেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিকে খুব কাছ থেকে দেখতে পেয়ে অনেকেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। অনেকেই আবার ট্রফির সেলফি তুলে সাক্ষী হয়ে থাকতে চান। এ সময় ক্রিকেটপ্রেমীরা প্রত্যাশা করেন, বিপিএলের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি যেন এবার রাজশাহীর ঘরেই আসে।
ট্রফি উন্মোচনের পর বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, ‘পৃথিবীর অন্যতম সেটা ক্রিকেট খেলোয়াড় স্যার গারফিল্ড সোবার্স আজ থেকে ১৫-১৬ বছর আগে রাজশাহীর মাঠ ঘুরে দেখে এটিকে “বিশ্বমানের মাঠ” হিসেবে অভিহিত করেন। একসময় বাংলাদেশের ওয়ানডে ও টেস্ট টিমের সেরা একাদশে সাত জন ছিলেন রাজশাহীর। আজকে রাজশাহী আবারও জেগে উঠেছে।’
এ সময় রাজশাহী অঞ্চলে ভালো মানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম তৈরিসহ ভবিষ্যতে রাজশাহীতে বিপিএল আয়োজনের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
অন্যদিকে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও (রাবি) বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ট্রফি প্রদর্শন করা হয়েছে। রবিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে বিপিএল ট্রফি প্রদর্শনীর জন্য উন্মোচন করা হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ কামাল স্টেডিয়ামেও প্রদর্শন করা হয় ট্রফিটি।
উন্মোচন করার সঙ্গে সঙ্গেই ক্রিকেটপ্রেমী শিক্ষার্থীরা ট্রফি দেখতে ভিড় করেন। ট্রফির সঙ্গে সেলফি নিতে ও ভিডিও করতে দেখা যায় অনেককে। প্রায় এক ঘণ্টার মতো ট্রফিটি দেখার সুযোগ পান শিক্ষার্থীরা।
ট্রফি দেখতে আসা নাজমুল হুদা নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিপিএলের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্য এরকম উদ্যোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ট্রফি দেখে খুবই ভালো লাগছে। তবে আয়োজক কমিটির প্রতি প্রত্যাশা থাকবে, যেন সামনে আরও ভালো মানের ট্রফি তারা তৈরি করেন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রফি প্রদর্শনীর কারণ জানতে চাইলে ট্রফি প্রদর্শনী আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক বশির আহমেদ বলেন, ‘আমরা এর আগে দেখেছি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্রিকেটকে কীরকম উপভোগ করেন, ভালোভাসেন। আমরা মূলত ক্রিকেটের উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে দিতেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রফি নিয়ে এসেছি। আমরা চেয়েছি বিপিএলের উচ্ছ্বাসটা যাতে সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।’
বশির আহমেদ জানান, ট্রফিটি আলুপট্টি মোড় থেকে রাজশাহী কলেজ, নগর ভবন, রেলগেটসহ পাঁচটি স্থানে প্রদর্শিত হয়। সাধারণ মানুষ খুব কাছ থেকেই দেখেছেন বিপিএলের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। এরপর ট্রফিটি যাবে রংপুরে।