ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণের মামলায় আবারও রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আসাদুজ্জামান আসাদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ১-এর বিচারক ফয়সাল তারেক এই আদেশ দেন।
শুনানির পর আসাদকে আবারও রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের আদালত পরিদর্শক আবদুর রফিক রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানার এ মামলা তদন্ত করছে নগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। সাবেক এমপি আসাদের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আসামির উপস্থিতিতে শুনানি শেষে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মঙ্গলবার আসামিপক্ষ রিমান্ডের বিরোধিতা করলেও জামিনের কোনও আবেদন ছিল না বলে জানান পরিদর্শক আবদুর রফিক।
এর আগে গত ৬ অক্টোবর ঢাকায় গ্রেফতার হন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ। এরপর তাকে রাজশাহী জেলা ও মহানগরের সাতটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এসব মামলায় এর আগেও কয়েক দফা রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে তাকে।
অন্যদিকে, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১-এর বিচারক ফয়সাল তারেক এই আদেশ দেন। এই রিমান্ড শুনানির জন্য ডাবলু সরকারকে সোমবার দুপুরে কারাগার থেকে এনে আদালতে তোলা হয়েছিল।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের আদালত পরিদর্শক আবদুর রফিক জানান, ছাত্র-জনতার ওপর হামলার একটি মামলায় ডাবলু সরকারের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মামলাটি তদন্ত করছে নগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন। আদালত দুই দিন মঞ্জুর করেছেন। তবে এ দিন ডাবলু সরকারের পক্ষ থেকে জামিনের আবেদন করা হয়নি বলেও জানান পুলিশ পরিদর্শক আবদুর রফিক।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর ৪ অক্টোবর গ্রেফতার হন ডাবলু সরকার। তার বিরুদ্ধে রাজশাহীতে দুটি হত্যাসহ বেশকিছু মামলা হয়েছে। এরই মধ্যে কয়েকটি মামলায় তিনি কয়েক দফা রিমান্ডে থেকেছেন। এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর আদালত তাকে এক দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছিলেন।