সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুদিন ধরে সংঘর্ষের ঘটনা সালিশের মাধ্যমে মীমাংসার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এর আগে রবিবার দিনভর দুই পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল কোম্পানীগঞ্জ। পরে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় দুদিনে পুলিশসহ ৭০ জন আহত হন। দুজনকে গুরুতর অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতাদের নিয়ে সোমবার একটি সালিশ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি দুই পক্ষকে নিয়ে বিচারের দিনক্ষণ নির্ধারণ করবে। তবে সালিশের আগে এ ঘটনায় কেউ উসকানি দিলে এবং তা প্রমাণিত হলে সেই পক্ষকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত হয়। এই সিদ্ধান্তের পর থেকে দুই পক্ষই এখন শান্ত।
সালিশ কমিটির সদস্য তেলিখাল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলফু মিয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর আমরা দুই পক্ষকে নিয়ে সালিশ বৈঠকের আয়োজন করি। ৫০ লাখ টাকা করে জামানত রেখে দুই পক্ষই বৈঠকে রাজি হয়। আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, তারা সুস্থ হলে সালিশ বৈঠকের দিন নির্ধারণ করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপাতত দুই পক্ষই শান্ত। তবে কোনও পক্ষের কেউ ফেসবুকসহ কোনোভাবে উসকানি দিয়ে ফের সংঘর্ষ বাঁধালে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’