পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আমনের বাম্পার ফলনে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। তবে পূরণ হয়নি লক্ষ্যমাত্রা। আগাম তরমুজ চাষের জন্য অনেক কৃষক তাদের জমিতে আমন ধান রোপণ করেননি বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন।
কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা বলেন, ‘এ বছর আবহাওয়া ছিল পুরোপুরি অনুকূলে। আমরা সময়মতো সঠিক পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করেছি। নতুন প্রযুক্তি ও উন্নত জাতের বীজ ব্যবহারের ফলে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলেও বাম্পার ফলন হয়েছে। এ ছাড়া এই ধানের পুষ্টিগুণও বেশি।’
কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর এ উপজেলায় আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩১ হাজার হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে ৩০ হাজার ৭৯৮ হেক্টর। তবে বাম্পার ফলনে এই সামান্য পার্থক্য পূরণ হয়ে যাবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
কলাপাড়া উপজেলা উপকূলীয় এলাকা হওয়ায় সেখানে লবণাক্ততা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কৃষিকাজ অনেক সময় ঝুঁকির মধ্যে থাকে। তবে এ বছর বর্ষাকালে বৃষ্টির পরিমাণ ভালো থাকার কারণে এবং যথাযথ কৃষি উপকরণ সরবরাহের কারণে আমনের ফলন আশানুরূপ হয়েছে বলে মনে করেন স্থানীয় কৃষকরা।
উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের দৌলতপুরের কৃষক মো. খলিলুর রহমান বলেন, ‘এ বছর গত কয়েক বছরের তুলনায় অনেক বেশি ফলন হয়েছে। যা আমাদের জীবনমানের উন্নতি ঘটাবে এবং পরবর্তী মৌসুমে আমরা আরও বেশি আত্মবিশ্বাস নিয়ে চাষাবাদ করতে পারবো।’
আরেক কৃষক মমিন উদ্দিন বলেন, ‘এ বছর আমনের দাম ভালো আছে। ধান বিক্রি করে আশা করি লাভবান হবো। এ বছর যতটুকু ক্ষতির আশঙ্কা ছিল তা হয়নি।’