গাজীপুরের কাপাসিয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা এবং মহানগরীর বাসন থানা এলাকায় এক অটোরিকশাচালক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে দুটি দুর্ঘটনায় তারা নিহত হন।
নিহত শিক্ষিকার নাম সিদ্দিকা বেগম। তিনি কাপাসিয়া উপজেলার কাজাহাজি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং মৌশাধামনা গ্রামের আতাউর রহমানের স্ত্রী।
নিহত অটোরিকশাচালক হারুন অর রশিদ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ মরুয়াদহ গ্রামের সাহেব উদ্দিনের ছেলে। তিনি গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানার হারিকেন এলাকার রত্না খাতুনের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
কাপাসিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রমিতা ইসলাম বলেন, ‘মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় গাজীপুরের বাসা থেকে সিদ্দিকা বেগম স্বামীর মোটরসাইকেলে কাপাসিয়ার কাজাহাজি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন। তারা গাজীপুর-কাপাসিয়া সড়কের চরমার্তা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় দুটি মোটরসাইকেলই সড়কে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলে শিক্ষিকা সিদ্দিকা বেগম নিহত হন। তার স্বামী আতাউর রহমানসহ (৬০) এবং তিন জন গুরুতর আহত হন। শিক্ষিকার স্বামীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মোহাম্মদ আবুল ফজল বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত প্রধান শিক্ষিকার মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে। গুরুতর আহত আরও দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।’
অপরদিকে, একইদিন সকাল ৮টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানার চৌধুরীবাড়ি এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অটোরিকশা চালক হারুন অর রশিদ নিহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে ভোগড়া থেকে চান্দনা চৌরাস্তা যাওয়ার পথে বাসের সঙ্গে অটোরিকশার ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই চালক হারুন নিহত হন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপির) বাসন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন জানান, ঘটনাস্থল থেকে নিহত অটোরিকশাচালক হারুন অর রশিদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।