রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটছে। এতে ছাত্রদল ও যুবদলের তিন কর্মী আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে উপজেলার মডেল টাউন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন– ৫নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন, সদস্য মান্না এবং পৌর যুবদলের সদস্য মো. ইব্রাহিম। তারা উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি থানার ওসি ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘সন্ধ্যার একটু পর মারামারির বিষয়ে শুনে আমরা ঘটনাস্থলে এসে দুই গ্রুপকে আলাদা করে দিই। এই ঘটনায় দুই গ্রুপের প্রায় শতাধিক লোক ছিল। তাদের মধ্যে তিন জন বাঘাইছড়ি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আমাদের সঙ্গে বিজিবি মাঠে রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক।’
তবে স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায়, মডেল টাউন এলাকায় টোল নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের মধ্যে উত্তেজনা ছিল। যা গতকাল দলীয়ভাবে স্বেচ্ছাসেবক দলকে দেওয়া হয়। এ নিয়ে অপর দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছিল।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রাঙামাটি জেলা ছাত্রদলের সদস্য মো. নাহিদ বলেন, ‘টোল নিয়ে সমস্যা ছিল, তা গতকাল সমাধান হয়েছে। আজ ফেসবুকে ছবি নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে উপজেলার নেতৃবৃন্দ আলোচনায় বসেছেন।’
বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নূর উদ্দিন বলেন, ‘উপজেলায় নব্য বিএনপির কিছু লোকজন আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়।’ হামলার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর অনেক নেতাকর্মী বের হয়েছেন। তাদের মধ্যে নাছির ও তার ছেলে রিয়াদ অন্যতম। তারা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করছেন। তারা এখন আওয়ামী লীগকে এলাকায় প্রতিষ্ঠিত করতে চান। তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্কের ছবিগুলো আমাদের কিছু নেতাকর্মী ফেসবুকে দেন। এ কারণে তাদের ওপর নাছির ও রিয়াদের নেতৃত্বে হামলা করা হয়। এতে ছাত্রদল ও যুবদলের তিন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘টোল নিয়ে বৃহস্পতিবার দলীয় নেতাকর্মীরা বসে সমাধান করেছেন। তখন সেখান থেকে একজন ফেসবুকে কিছু ছবি দিয়ে আওয়ামী লীগের দালাল বলে পোস্ট করায় এই ঝামেলা।’
বাঘাইছড়ির উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক হুমায়ন রশিদ বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগত কারণে রাঙামাটি আছি। বিষয়টি শুনেছি, তবে বিস্তারিত কিছুই জানি না।’
এই বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ওমর আলী বলেন, ‘কিছু অনুপ্রবেশকারী দলের সুনাম নষ্ট করছে। তাদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। পৌর বিএনপির সদস্য নাছির ও তার ছেলের নেতৃত্বে একটি হামলা হয়েছে শুনেছি। পরে বিষয়টি নিয়ে বসেছি। পরে এ নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। যদি দলের কেউ অন্যায় করে তাহলে দলীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বাকিরা তাদের আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।’