খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় বিক্ষোভ করেছে পাহাড়ের বিভিন্ন সংগঠন। বৃহস্পতিবার ওই নারী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। তাকে দুই ব্যক্তি ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রামগড় থানায় মামলা হয়েছে।
শুক্রবার এ ঘটনার প্রতিবাদে রামগড়-ঢাকা সড়কের নাকাপা বাজার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। এ সময় দোষীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা। এ মিছিলের আয়োজন করে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), ডেমোক্র্যাটিক ইয়ুথ ফোরাম (ডিওয়াইএফ) ও পার্বত্য নারী সংঘ।
পরে এক সমাবেশে বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনেক পাহাড়ি নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হলেও দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হয়নি।
ভুক্তভোগীর এক চাচাতো ভাই জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে ৪০ বছর বয়সী ওই নারীর বাড়িতে যায় আট থেকে ১০ জনের একটি দল। আট বছর আগে স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে সেখানে ওই নারী ও তার কিশোরী মেয়ে বসবাস করছিলেন।
ভুক্তভোগীর বরাত দিয়ে তার চাচাত ভাই আরও জানান, আক্রমণের সময় ভুক্তভোগী ছুরি দিয়ে অপরাধীদের প্রতিহত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এর পর মেয়েকে নিয়ে তিনি পালানোর চেষ্টা করেন। তবে নিকটবর্তী একটি খালের সামনে এসে আটকে যান তারা। খালটি পার হতে না পারায় তীরেই তাদের ধরে ফেলে অপরাধীরা।
এর পর মা ও মেয়েকে একটি কলাবাগানে টেনে নিয়ে যায় অপরাধীরা। সেখানে দুই জন ভুক্তভোগী নারীকে ধর্ষণ করে। তখন তার মেয়ে সেখান থেকে কোনোরকমে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
এদিকে, টানা বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খাগড়াছড়ি। গত কয়েকদিন ধরেই বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রয়েছে জেলাটির একাধিক এলাকা।