বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ভাঙচুর ও আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার পর শুরু হয়েছে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার কার্যক্রম। সোমবার (১৯ আগস্ট) এনায়েতপুর থানার দক্ষিণে মানবমুক্তি সংস্থা নামে একটি এনজিওর ভবন ভাড়া নিয়ে থানার কার্যক্রম শুরু হয়।
এর আগে ৪ আগস্ট ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেওয়া হয় এনায়েতপুর থানা ভবন। ওইদিন থানার ওসিসহ ১৫ পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত হয়নি কোনও মামলা।
থানা সূত্রে জানা যায়, ৩২ জন পুলিশ সদস্যকে নিয়ে সোমবার থেকে নতুন করে কার্যক্রম শুরুর প্রথম দিনে এখন পর্যন্ত মামলা না হলেও তিনটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। দীর্ঘদিন পর থানার কার্যক্রম চালু হওয়ায় এলাকার মানুষের মাঝেও স্বস্তি ফিরে এসেছে।
এই থানার নতুন দায়িত্ব পাওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসিবুল্লাহ বলেন, ‘এনায়েতপুর থানা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় একটি ভবন ভাড়া নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছি। আজ প্রথম দিনে তিনটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। আমরা এখন যেকোনও সেবা দিতে প্রস্তুত।’
ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেওয়া থানা ভবনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত পুড়িয়ে দেওয়া থানা ভবনের সংস্কারের কাজ শুরু হয়নি। এটি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ব্যাপার। তবে খুব দ্রুতই সংস্কার করা হবে আশা করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এনায়েতপুর থানা ভবনে ভাঙচুর, আগুন দেওয়া ও ওসিসহ ১৫ জন পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। খুব দ্রুতই মামলা করা হবে।’
এ বিষয়ে জানতে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম মণ্ডলকে একাধিকবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।