X
সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪
১৭ আষাঢ় ১৪৩১

১৩০০ কেজির কালামানিকের সঙ্গে খাসি ফ্রি

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
০৩ জুন ২০২৪, ১২:১৮আপডেট : ০৩ জুন ২০২৪, ১৪:২২

বিশাল আকৃতির গরুটিকে প্রথমে দেখলেই চমকে উঠবে যে-কেউ। পা থেকে মাথা অবধি কুচকুচে কালো রঙ। এজন্য মালিক নাম রেখেছেন ‘কালামানিক’। পাঁচ বছর বয়সী ফ্রিজিয়ান জাতের এ ষাঁড়টি লম্বা ১০ ফুট, উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি, ওজন ১৩শ’ কেজি। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ষাঁড়টির দাম হাঁকা হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা। ষাঁড়টি কিনলে ফ্রিতে মিলবে ‘কাঞ্চন’ নামে একটি খাসি।

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল ইউনিয়নের নান্দিনা মধু গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. আলী আজম তালুকদারের খামারে বেড়ে উঠেছে ষাঁড়টি। 

খামার সূত্রে জানা যায়, শখের বসে নিজ বাড়িতে গরুর খামার করেছেন আলী আজম। তার খামারে বর্তমানে মোট নয়টি বিশাল আকৃতির ষাঁড় লালন-পালন করা হচ্ছে। কালামানিক ছাড়াও ৮০০ কেজি ওজনের শাহীওয়াল জাতের আকাইসুর এবং ৭০০ কেজি ওজনের আরও সাতটি ষাঁড় রয়েছে। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কালামানিক, আকাইসুরসহ মোট আটটি ষাঁড় বিক্রির জন্য কোরবানির পশুর হাটে তুলবেন তিনি। বিশালাকৃতির ষাঁড়টিকে দেখার জন্য প্রতিদিন লোকজন ভিড় জমাচ্ছেন।

খামারে সার্বক্ষণিক পরিচর্যা হয় যাড়টিকে খামারে সার্বক্ষণিক পরিচর্যার কাজে নিয়োজিত থাকা রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক আদর করে কালামানিককে লালন-পালন করা হয়েছে। আদর করলে সে খুশি হয়। তাকে ভালোবাসলে সেও ভালোবাসে, আর ভালো না বাসলে লাথি-গুতা দেয়। সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত আমি এবং আমার পরিবার এই খামার দেখাশোনা করি।’

অধ্যাপক ড. আলী আজম তালুকদার বলেন, ‘শখের বসে ২০১৫ সালে এই খামারটি তৈরি করেছি। এখানে কোনও ওষুধ ছাড়াই আমার নিজস্ব গবেষণা প্রক্রিয়ায় দানাদার খাদ্যগুলো পাউডার ফর্মে এনে এরপর ব্যাকটেরিয়া দিয়ে গাঁজানো প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৬ থেকে ১২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখি। পরে ষাঁড়গুলোকে খেতে দেওয়া হয়। এর সঙ্গে দেওয়া হয় কাঁচা ঘাস এবং সাইলেস। আমার চিন্তা সাশ্রয়ী মূল্যে গবাদিপশুকে খাদ্য দেওয়া।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ষাঁড়টিকে বিক্রির জন্য দাম চাওয়া হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। ব্যবসার জন্য খামার করা হয়নি। যদি কেউ কিনতে চান তাহলে অবশ্যই আলোচনার মাধ্যমে দাম কমানো যাবে। গরুটি কিনলে ফ্রিতে মিলবে ২২ থেকে ২৫ কেজি ওজনের একটি খাসি।’

কামারখন্দ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতরের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. ফরহাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘উপজেলার সবচেয়ে বড় ষাঁড় কালামানিক। প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে মালিক ষাঁড়টি বড় করেছেন। আশা করছি, কোরবানির প্রাণীর হাটে ষাঁড়ের মালিক ভালো দামে বিক্রি করতে পারবেন।’

/এমএএ/
সম্পর্কিত
আলোচিত সেই ছাগল এখন কোথায়?
কোরবানির ১ লাখ ৭২ হাজার পশুর চামড়া গেলো কোথায়?
নগরবাসীর হুঁশ ফিরবে কবে?নর্দমায় চামড়া-লেজ-কান-শিং-নাড়িভুঁড়ি
সর্বশেষ খবর
শিশুদের জন্য সংগীতের নতুন রিয়েলিটি শো
শিশুদের জন্য সংগীতের নতুন রিয়েলিটি শো
সারা বছর নিষ্ক্রিয়, বর্ষা এলে টনক নড়ে প্রশাসনের
পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসসারা বছর নিষ্ক্রিয়, বর্ষা এলে টনক নড়ে প্রশাসনের
বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে থাকার অনুরোধ পরিবারের
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০২৪বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে থাকার অনুরোধ পরিবারের
পরীমণির মাদক মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি
পরীমণির মাদক মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি
সর্বাধিক পঠিত
নরসিংদীতে সাপের কামড়ে ১৪ জন হাসপাতালে
নরসিংদীতে সাপের কামড়ে ১৪ জন হাসপাতালে
রাসেলস ভাইপার নিয়ে যা বললেন গবেষক ড. ফরিদ আহসান
রাসেলস ভাইপার নিয়ে যা বললেন গবেষক ড. ফরিদ আহসান
নতুন অর্থবছরের বাজেট পাস
নতুন অর্থবছরের বাজেট পাস
এই বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খেতে কোথায় যাবেন?
এই বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খেতে কোথায় যাবেন?
৪ ফ্ল্যাটের চাবি বেনজীরের কাছে, প্রবেশ করতে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ
৪ ফ্ল্যাটের চাবি বেনজীরের কাছে, প্রবেশ করতে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ