নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদর নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকে বিভিন্ন ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম দোয়াত-কলম প্রতীকের ভোট করায় এমপির ছেলে আতাহার ইশরাক সাবাব চৌধুরীর লোকজন এ হামলা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার বেলা ১১টায় মাইজদীতে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা এসব অভিযোগ করেন। একই সঙ্গে বতিল করা এক হাজার ৯১৪ ভোটসহ সব ভোট পুনর্গণনা এবং ঘোষিত ফলাফল স্থগিতের দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন- সদ্য শেষ হওয়া সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত দোয়াত-কলম প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌর মেয়র সহিদ উল্যাহ খান সোহেল, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে নেতারা অভিযোগ করে বলেন, ‘গত ৮ মে অনুষ্ঠিত সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্রে ভোটারদের আসতে বাধা দেয় আনারস প্রতীকের প্রার্থী আতাহার ইশরাক সাবাব চৌধুরীর কর্মীরা। কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে দোয়াত-কলমের একাধিক কর্মীকে। সন্ধ্যায় চারটি কেন্দ্রের ভোট গণনা করে ফলাফল উলটপালটও করে দেওয়া হয়।’ চর মহিউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, চর মহিউদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর মহিউদ্দিন এনএ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাজীপুর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বহুমুখী আশ্রয়কেন্দ্রের ফল স্থগিত রেখে পুনর্ভোট দেওয়া এবং বাতিল হওয়া এক হাজার ৯১৪টি ভোট পুনর্গণনা করার পর চূড়ান্ত ফল ঘোষণার দাবি জানান তারা।
নেতৃবৃন্দ আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘নির্বাচনি ফল ঘোষণার পর থেকে আনারস প্রতীকের প্রার্থীর লোকজন প্রতিদিন সুবর্ণচরের বিভিন্ন উপজেলায় দোয়াত-কলমের লোকজনের ওপর হামলা চালাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি হামলা, ভাঙচুর ও লুটের ঘটনা ঘটেছে চরজব্বার ইউনিয়নে। সেখানকার চাউয়াখালী বাজারে কমপক্ষে ১৫টি দোকানপাট, আশপাশে কমপক্ষে ২০টি বসতবাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে। এ সময় পিটিয়ে আহত করা হয় অর্ধশত কর্মী ও তাদের স্বজনদের। এক কর্মীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে তার মেয়ের বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়।’
সংবাদ সম্মেলনে এসব ঘটনার একটি ভিডিও উপস্থাপন করা হয়। অভিযোগকারীরা, এ ঘটনা খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।