বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ১৫ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে গোলাগুলি চলেছে। এ ঘটনায় সীমান্তে বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন। এর আগে সীমান্তের ছয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন জানান, বান্দরবান-মিয়ানমার সীমান্তের মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান পরিস্থিতির কারণে ছাত্র-ছাত্রী ও সীমান্তে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরিয়ে নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ তথ্য পাওয়া পর্যন্ত ওই এলাকাগুলোতে কয়েকজন ছাড়া বাকি সবাই এলাকা ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে। এ ছাড়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সীমান্তবর্তী স্কুলগুলোও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, শনিবার রাতভর মিয়ানমারে ভারী গোলাগুলির পর রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু এলাকায় নিজ বাড়িতে ফেরার পথে প্রবীর চন্দ্র ধর (৫৮) নামে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ছাড়া সকালে মিয়ানমারের ১৪ জন বিজিপি সদস্য সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার পরে আরও ছয় জন আশ্রয় নিয়েছেন।
আরও খবর: মিয়ানমারে আবারও গোলাগুলি, বাংলাদেশ সীমান্তে ৬ বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা