ময়মনসিংহ-১১ ভালুকা আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য (এমপি) ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী কাজিম উদ্দিন আহমেদ আদালতে হাজির হয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগের কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দিতে তিনি আদালতে উপস্থিত হন।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকালে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তা ও ময়মনসিংহ সদরের সিনিয়র সহকারী জজ পবন চন্দ্র বর্মণের আদালতে হাজির হন কাজিম উদ্দিন।
কারণ দর্শানোর জবাবে কাজিম উদ্দিন আহমেদ এমপি বলেন, ‘গত ২৮ নভেম্বর বিকাল ৩টায় ঢাকা থেকে ভালুকা যাওয়ার পথে নির্বাচনি এলাকার ভক্তবৃন্দসহ শহরবাসী আমাকে শুভেচ্ছা জানান। এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে তাই বারবার নেতাকর্মী ও জনগণকে নিষেধ করার পরেও কিছু নেতাকর্মী ও সমর্থক জমায়েত হয়ে নৌকার পক্ষে স্লোগান দেন।’
নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি নির্বাচনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আগামীতে যেন এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে সেদিকে দৃষ্টি রাখবো। বিষয়টি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।’
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় ময়মনসিংহ-১১ ভালুকা আসনের সংসদ সদস্য ও নৌকার মনোনীত প্রার্থী কাজিম উদ্দিন আহমেদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেয় নির্বাচন কমিশন। ওই নোটিশে বলা হয়, মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ আসার সময় ময়মনসিংহ মহাসড়কের নাসির গ্লাস নামক স্থানে ছাদ খোলা গাড়িতে আপনি দাঁড়িয়ে শুভেচ্ছা জানাতে জানাতে ময়মনসিংহের দিকে আসেন। সেখানে আপনাকে বরণ করে নেওয়া হয়। আপনার পক্ষে নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে আনন্দ মিছিল করেন নেতাকর্মীরা। এ সময় ওই এলাকায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে জনগণের চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। আপনি এই কার্যক্রমের মাধ্যমে সংসদীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দল প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮-এর বিধি ৬-এর ঘ ৮-এর বিধি ৬(ঘ), ৮(ক), ৮( খ) ও ১০(ক)-এর বিধান এবং বিধি ১২-এর বিধান লঙ্ঘন করেছেন। উপরোক্ত বিধিমালাগুলো লঙ্ঘনের জন্য কেন আপনার বিরুদ্ধে তদন্ত করে নির্বাচন কমিশনকে অভিহিত করা হবে না, তা সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।