চট্টগ্রামে বাসা-বাড়িতে সকাল থেকে স্বাভাবিক হয়েছে গ্যাস সরবরাহ। তবে এখনও বন্ধ রয়েছে সিএনজি ফিলিং স্টেশনসহ কল-কারখানা। সোমবার (১৫ মে) রাতের মধ্যে গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল)।
এদিকে, এখনও গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে। যে কারণে সড়কে গ্যাসচালিত যানবাহন নেই। তেলচালিত যেসব গাড়ি চলছে সেগুলোতে বাড়তি ভাড়া আদায় করার অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। যানবাহন কম থাকায় সড়কের প্রতিটি মোড়ে অতিরিক্ত যাত্রী দেখা গেছে। যেসব গণপরিবহন চলাচল করছে সেগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ রয়েছে।
অপরদিকে, এলএনজি গ্যাস নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে চট্টগ্রামের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে আজ সোমবার (১৫ মে) দুপুরে নগরীর ষোলশহর কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সাংবাদিক বিপ্লব পার্থ। বক্তব্য রাখেন– সৌরভ পাল, করদাতা সুরক্ষা পরিষদের সদস্য সাজ্জাদ হোসেন জাফর, রাসেল উদ্দিন, মো. ফোরকান প্রমুখ।
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (বিপণন দক্ষিণ) প্রকৌশলী আমিনুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হচ্ছে। বর্তমানে মহেশখালী এলএনজি টার্মিনাল থেকে ১৫০ এমএমসিএফটি গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। আশা করছি, আজ রাত নাগাদ সরবরাহ পুরোপুরি সচল হবে। বর্তমানে যে পরিমাণ গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে তা দিয়ে বাসা-বাড়ির চুলা জ্বলছে। গ্যাসের প্রেসার কম থাকায় বাকিরা তা ব্যবহার করতে পারছেন না। পুরোপুরি গ্যাস সরবরাহ হওয়ার পর সবকিছু আগের মতো সচল হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পুরো চট্টগ্রাম এখন এলএনজি গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। আমরা দৈনিক ৩শ’ এমএমসিএফটি গ্যাস পেয়ে থাকি। যার পুরোটাই পেয়ে থাকি মহেশখালীর এলএনজি টার্মিনাল থেকে।’
উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে ১২ মে রাত ১১টা থেকে মহেষখালীর এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হয়। এ কারণে চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকে।’