X
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
৮ বৈশাখ ১৪৩২

‘বঙ্গবন্ধু চর’ হতে পারে আরেক সুন্দরবন

হেদায়েত হোসেন, খুলনা
২০ নভেম্বর ২০২০, ১৭:৫৭আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২০, ২০:১০

বঙ্গবন্ধু চর সুন্দরবনের সর্বশেষ সীমানা থেকে বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা বঙ্গবন্ধুর চর সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে বন বিভাগ। সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের নীলকমল অভয়ারণ্য কেন্দ্রের আওতার মধ্যে পড়েছে ওই চরটি। প্রায় ১০ বছর আগে চরটি বন বিভাগের দৃষ্টিগোচর হয়। এরপর থেকেই সেখানে নিয়মিত তদারকি করে যাচ্ছে বন বিভাগ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সঠিক ব্যবস্থাপনায় রাখলে এই চর হয়ে উঠতে পারে আরেক সুন্দরবন।

জানা যায়, ১৪ নভেম্বর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান চরটি পরিদর্শন করার পর সেখানে একটি টহল ফাঁড়ি করার নির্দেশ দেন। এছাড়া চরটির সার্ভে করার জন্যও বলা হয়েছে।

সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর চরটি বেশ দুর্গম। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে কেউ সেখানে যেতে চান না। সচিব হিসেবে জিয়াউল হাসান প্রথম চরটি পরিদর্শন করেছেন। চরের ভূ-প্রকৃতি দেখে তিনি মুগ্ধ হয়েছেন। চরটিতে যেন জীববৈচিত্র্যের পরিবেশ অক্ষুন্ন থাকে ও কেউ ক্ষতিসাধন করতে না পারে সে জন্য সেখানে একটি টহল ফাঁড়ি করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তার ওই নির্দেশনা অনুযায়ী সেখানে একটি ফাঁড়ি করার কার্যক্রম চলছে।

‘বঙ্গবন্ধু চর’ হতে পারে আরেক সুন্দরবন সংশ্লিষ্টরা জানান, বঙ্গবন্ধু চরের আয়তন প্রায় ১০ বর্গকিলোমিটার। তবে ধীরে ধীরে এর আয়তন আরও বাড়ছে। ইতোমধ্যে চরটি বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার নজর পড়েছে। ওই সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের স্টেশন ও ট্যুরিস্ট স্পট করার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে এই মুহূর্তে ওই চরকে বিরক্ত না করলে সেটিও হয়ে উঠতে পারে বঙ্গোপসাগরের বুকে আরেকটি সুন্দরবন।

তবে কে কবে চরটির নামকরণ ‘বঙ্গবন্ধু চর’ করেছে তা বলতে পারেন না বন কর্মকর্তারা। তারা শুনেছেন জেলেরাই প্রথম চরটির অস্তিত্ব জানতে পেরেছে। এরপর কেউ হয়তো চরটির নামকরণ করেছেন বঙ্গবন্ধুর চর। সেই থেকে চরটি ওই নামেই পরিচিতি পেয়েছে।

সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের খুলনা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. আবু সালেহ বলেন, ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধুর চরে ম্যানগ্রোভ বনের বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ জন্মাতে শুরু করেছে। ধীরে ধীরে চরটি হয়ে উঠছে সুন্দরবনের অংশ।

এছাড়া বিভিন্ন ধরনের বন্য পশুপাখিও বিচরণ করতে দেখা গেছে। এ কারণে সেটি সংরক্ষণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। কেউ যেন ওই বনের ক্ষতি করতে না পারে সে জন্য সেখানে টহল ফাঁড়ি করার কাজ চলছে। ফাঁড়ি হয়ে গেলে ওই চরের জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও বনের পরিবেশ অক্ষুণ্ন রাখা সম্ভব হবে। আগে স্থানটি বন বিভাগের নীলকমল অভয়ারণ্য কেন্দ্রের আওতায় তদারকি করা হতো। চরে স্থাপিত ফাঁড়িটিও ওই কার্যালয়ের আওতায় থাকবে বলে জানান তিনি।

/টিটি/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ঢাকা মহানগরীতে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে মার্চ মাসে শ্রেষ্ঠ হলেন যারা
ঢাকা মহানগরীতে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে মার্চ মাসে শ্রেষ্ঠ হলেন যারা
৩৫০-৪০০ রান করতে চায় বাংলাদেশ
৩৫০-৪০০ রান করতে চায় বাংলাদেশ
ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য উত্তরায় বসছে ‘ঢাকা হাট’
ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য উত্তরায় বসছে ‘ঢাকা হাট’
সব এজেন্সির জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত করতে মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি
সব এজেন্সির জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত করতে মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশে ঢুকে উৎসব করে গেছেন আরাকান আর্মির সদস্যরা
বাংলাদেশে ঢুকে উৎসব করে গেছেন আরাকান আর্মির সদস্যরা
অনার্সও পাস করেননি, জাল সনদে বনে গেলেন বিজ্ঞানের শিক্ষিকা
অনার্সও পাস করেননি, জাল সনদে বনে গেলেন বিজ্ঞানের শিক্ষিকা
সুদের টাকার জন্য পিটুনিতে ভবেশ চন্দ্রের মৃত্যু, তিন দিন পর জানালো পরিবার
সুদের টাকার জন্য পিটুনিতে ভবেশ চন্দ্রের মৃত্যু, তিন দিন পর জানালো পরিবার
উত্তরাঞ্চলেও জনপ্রিয় হচ্ছে উচ্চ ফলনশীল ‘ব্রি ধান-১০৩’
উত্তরাঞ্চলেও জনপ্রিয় হচ্ছে উচ্চ ফলনশীল ‘ব্রি ধান-১০৩’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট