বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তার ছেলে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্পর্কে দেওয়া বক্তব্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে খণ্ডিতভাবে এসেছে বলে দাবি করেছেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী ও ঝালকাঠি-১ আসনের সাবেক এমপি ব্যারিস্টার এম শাহজাহান ওমর বীর উত্তম। তিনি এর প্রতিবাদ জানান। তবে এটাও বলেন, ‘আমি যে কথা বলেছি সত্যই তো বলেছি।’
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘তারেক সাহেব থাকেন লন্ডনে। লন্ডনে বসে কথা বলা বা ভাব আদান-প্রদান করা তো ডিফিকাল্ট জব। মাঝে মাঝে তিনি স্কাইপে কথা বলেন। এতে পার্টিকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবেন? তারেক সাহেব কতখানি চালাতে পারবেন, আপনারাও দেখেন, আমিও দেখি।’
দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গে শাহজাহান ওমর বলেন, ‘শত ইচ্ছা থাকলেও বেগম জিয়ার রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ খুবই কম।’
তার এই বক্তব্যে ঝালকাঠি জেলাসহ দক্ষিণাঞ্চলে বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এ প্রসঙ্গে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) মাহবুবুল হক নান্নুর কাছে জানতে চাইলে শুক্রবার (৯ অক্টোবর) এ প্রতিনিধিকে তিনি বলেন, ‘শাহজাহান ওমরের বক্তব্যের আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান আমাদের ঐক্যের প্রতীক। ওমর সাহেব হয়তো তার অর্থসম্পদ রক্ষা করতে এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি কখনোই মনেপ্রাণে বিএনপি করেননি। পরিস্থিতির কারণে বিএনপি করেছেন।’
ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম নূপুর বলেন, ‘শাহজাহান ওমরের বক্তব্যে ঝালকাঠি বিএনপিতে তেমন কোনও প্রভাব পড়বে না। আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারুণ্যের অহঙ্কার তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছি। তার বক্তব্যকে আমি দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে মনে করছি।’
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শাহজাহান ওমর বলেন, ‘তোমরা একটা প্রশ্ন করো, যা উত্তর দেই আংশিক বক্তব্য ছাপা হয়। আমি কখনোই বলিনি তারেক রহমানের নেতৃত্ব মানি না। কিছু মিডিয়ায় আমার বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে। আর আমি যে কথা বলেছি সত্যই তো বলেছি। বেগম খালেদা জিয়াকে যেভাবেই হোক, তাকে জেল দিয়ে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। তিনি স্বাভাবিকভাবেই রাজনীতি করতে পারবেন না। আর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিদেশে রয়েছেন। বিদেশে বসে দল চালানো সো ডিফিকাল্ট। আর স্থায়ী কমিটির চার/পাঁচটি পদ এখনও অপূর্ণ রয়েছে। স্থায়ী কমিটির মধ্যে যারা বয়োবৃদ্ধ ও অসুস্থ, তাদের দিয়ে নীতিনির্ধারণ হবে কীভাবে? তাদের উপদেষ্টা কমিটিতে নিয়ে পুরনো, দলে আনুগত্য আছে এবং যারা সুস্থ-স্বাভাবিক আছেন, তাদের দিয়ে স্থায়ী কমিটি গঠন করে দলকে সামনের দিকে আগিয়ে নিতে হবে।’