সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) ৮৮টি ট্রাকে করে দেশে ঢুকেছে ২ হাজার ১৪৩ মেট্রিক টন ভারতীয় পেঁয়াজ। তবে পেঁয়াজের আমদানি বাড়লেও দাম স্থিতিশীল আছে।
মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) মতো বুধবারও ৪০-৪১ (ঢাকা-চট্টগ্রাম-ফেনী ট্রাক লোডিং) দরে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। তবে সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) এসব পেঁয়াজ ৩৮-৩৯ টাকা দরে বিক্রি হয়।
সাতক্ষীরা ভোমরা কাস্টমস সহকারী কমিশনারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) ৮৮ ট্রাকে করে ২ হাজার ১৪৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার (৮ সেপ্টম্বর) ৭৪ ট্রাকে করে ১ হাজার ৭৩০ মেট্রিক টন, রবিবার (৬ সেপ্টেম্বর) ৮৫ ট্রাকে ১ হাজার ৮৭০ মেট্রিক টন এবং সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) ৭৮ ট্রাকে ১ হাজার ৮৯৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।
তবে পেঁয়াজের আমদানি অব্যাহত থাকলেও বর্ধিত দর এখনও কমাননি আমদানিকারকরা। এক্ষেত্রে তারা চাহিদার চেয়ে জোগান কম এমন যুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
ভোমরা স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মেসার্স কালাম ইন্টারন্যাশনালের সত্ত্বাধিকারী খোরশেদ আলী বলেন, কোলকাতা থেকে ভোমরা স্থলবন্দরের দূরত্ব কম হওয়ায় আমদানিকারকরা ফলমূল এবং পচনশীল মালামাল এই বন্দর দিয়ে আমদানি করতে পছন্দ করেন। এ বন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি দিন দিন বাড়লেও দামও প্রতিদিনই বাড়ছে। ভারতে পেঁয়াজের চাহিদা অনুযায়ী যোগান নেই সে কারণে সেখানে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তার প্রভাব আমাদের দেশের ওপর পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, বুধবার এলসির পেঁয়াজের গাড়ি লোডিং রেট (ঢাকা, চট্টগ্রাম, ফেনী, কুমিল্লা ও সিলেট) ৪০/৪১ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। তবে বেচা-বিক্রি খুবই কম।