বরিশালে ফার্মেসিতে নেশাজাতীয় ইনজেকশন বিক্রির দায়ে দুই জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকালে বরিশালের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ মাহবুব আলম আসামিদের উপস্থিতিতে ওই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, নগরীর সদর রোডের জামাল মেডিক্যাল হলের কর্মচারী ও চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলী এলাকার মৃত সারদা মোহন দাসের ছেলে রূপম দাস এবং বরিশালের সদর উপজেলার বিল্ববাড়ি এলাকার মৃত আব্দুল মান্নান খলিফার ছেলে রাসেল খলিফা।
বেঞ্চ সরকারী লিটন হাওলাদার জানান, ২০১৪ সালের ২৮ মার্চ নগর গোয়েন্দা পুলিশ সদর রোডের জামাল মেডিক্যাল হলে অভিযান চালিয়ে ৭০ পিস জি-মরফিন ইনজেকশনসহ রাসেল খলিফাকে আটক করে। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ফার্মেসির কর্মচারী রূপমের কাছ থেকে আরও ৪শ’ পিস জি-প্যাথেড্রিন এবং ১শ’ পিস জি-মরফিন ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় গোয়ন্দা পুলিশের এস আই আহসান কবির বাদী হয়ে রূপম, রাসেল ও ফার্মেসির অপর কর্মচারী দীলিপ দাসের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ২৬ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়ন্দা পুলিশের পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ ওই তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ওই দুই জনকে যাবজ্জীবন এবং দীলিপকে বেকসুর খালাসের আদেশ দেন বিচারক।