ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হওয়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কাজী জাহিদুর রহমান জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। ৭১ দিন কারাভোগের পর বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় তিনি জামিনে মুক্তি লাভ করেন। প্রয়াত সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে গত ১৭ জুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হন তিনি।
কাজী জাহিদুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। শুক্রবার (২৮ আগস্ট) সকালে বাংলাট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘আমি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লিখেছি, ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়। যা আমি আগেও বলেছি এখনও বলছি।’
ফেসবুক পোস্ট দেওয়ার প্রায় দুই সপ্তাহ পরে মামলা ও রাতের আঁধারে শিক্ষক কোয়ার্টার থেকে গ্রেফতার করা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘শিক্ষক রাজনীতির কারণে ঘটনাটি ঘটেছে। যেখানে এটা এক-দুই তারিখের স্ট্যাটাস, যা নিয়ে কারও কোনও নেগেটিভ প্রতিক্রিয়া নেই। যেহেতু আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, সেখানে আমাদের ভেতরে বিরোধিতা থাকেই। শিক্ষক রাজনীতির কারণেই ঘটনাটি ঘটেছে।’
প্রসঙ্গত, প্রয়াত সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম অসুস্থ হওয়ার পর থেকে কাজী জাহিদুর তার ফেসবুক স্বাস্থ্যখাত নিয়ে কয়েকটি স্ট্যাটাস দেন। ওই পোস্টগুলো প্রথমে সেভাবে সামনে না আসলেও মোহাম্মদ নাসিম মারা যাওয়ার পর এ নিয়ে সমালোচনা হয়। রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে একই ধরনের অভিযোগে গ্রেফতারের পর কাজী জাহিদুর রহমানের স্ট্যাটাসগুলো সামনে আসে। তার শাস্তির দাবি জানান ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের একাংশ।
পরে গত ১৭ জুন কাজী জাহিদের বিরুদ্ধে মতিহার থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন রাজশাহী নগরীর বাসিন্দা ও আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট তাপস কুমার সাহা। ওইদিন রাত ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কোয়ার্টারের বাসা থেকে কাজী জাহিদকে গ্রেফতার করে মতিহার থানা পুলিশ। তিনি এতদিন রাজশাহী কারাগারে ছিলেন।
আরও পড়ুন-
‘আমার স্ট্যাটাস দুর্নীতির বিরুদ্ধে, ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়’
মোহাম্মদ নাসিমকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ পোস্টের অভিযোগে রাবি শিক্ষক গ্রেফতার