প্রবাসে থাকা বাংলাদেশের নাগরিকদের প্রত্যেকে দেশের রাষ্ট্রদূত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, বিদেশে গেলে প্রবাসীরা সচেতন থাকে, যেন তার কোনও কাজের জন্য কেউ দেশকে খারাপ না বলে। শনিবার (০২ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রত্যয়, প্রবাসী কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী প্রধান অতিথি ছিলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিদেশে প্রবাসীদের এক একজন আমাদের দেশের রাষ্ট্রদূত। তারা তাদের আচার আচরণে মাধ্যমে বিদেশেও দেশের সম্মান তুলে ধরতে পারেন। এ ব্যাপারে প্রবাসীরা সচেতন। প্রবাসে গুটিকয়েক মানুষের জন্য যেন দেশের সম্মান নষ্ট না হয় সে ব্যাপারে প্রবাসীদের সচেতন থাকতে হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এক কোটির বেশি মানুষ প্রবাসে অবস্থান করছে। এই প্রবাসী ভাই-বোনেরা যে রেমিটেন্স পাঠান তার কারণে আমাদের অর্থনীতিতে রক্ত সঞ্চালন হয়। প্রবাসীদের কারণে শুধু বাংলাদেশের উন্নয়ন হচ্ছে তা নয়, সারাবিশ্বে বাংলাদেশিরা মেধার স্বাক্ষর রাখছে। মরুভূমির বুকে যে সুন্দর শহর, সুদৃশ্য অট্টালিকা নির্মাণ হয়েছে এগুলোর পেছনে বাংলাদেশের প্রবাসীদের অবদান আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার প্রবাসীদের কল্যাণে অনেক কিছুই করেছে। তিনটি এনআরবি ব্যাংক দেওয়া হয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক করা হয়েছে। যারা রেমিটেন্স বেশি পাঠাচ্ছে তাদেরকে সম্মানিত করা হচ্ছে। সরকারি প্লট বা ফ্ল্যাট বরাদ্দ দিলে সেখানে প্রবাসীদের জন্য বিশেষ কোটা ও প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে।’
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রবাসীরা যাতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেটি নিয়ে আমাদের সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। নির্বাচন কমিশনও কাজ করছে। প্রবাসীরা দেশে আসলে ভোট দিতে পারে। কিন্তু বিদেশে থাকলে তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন না। তাই তারা যেন ভোট দিতে পারেন সেই জন্য আমরা কাজ করছি।’
পাঁচ বছর পর আবার নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য বিএনপি’র প্রতি আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর সরকার পাঁচ বছর সফলভাবেই দেশ পরিচালনা করেছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পরও আগামী পাঁচ বছর সরকার দেশ পরিচালনা করবে। পাঁচ বছর পর আবার নির্বাচন হবে।’
হাছান মাহমুদ আরও বলেন, আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সব রাজনৈতিক দল এবং জোটকে চা চক্রে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। দেশের প্রায় সব দলের লোকজন আসছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই আমন্ত্রণে বিএনপি ও ঐক্যজোট সাড়া দেয়নি।