লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দেলোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তির ওপর হামলার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে চার পুলিশ ও এক সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে সদর হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতাল, পুলিশ ও যুবলীগ সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের আঠিয়াতলী গ্রামের যুবক দেলোয়ার হোসেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় মঙ্গলবার কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে এলাকায় ফেরেন। আজ বুধবার (২ জানুয়ারি) সকালে তিনি একটি ছোরা নিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমানকে আক্রমণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা তাকে মারধর করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ আহত দুইজনকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে শহর যুবলীগের নেতাকর্মীরা হাসপাতালে যান। এ সময় দেলোয়ারের ওপর হামলার চেষ্টা করেন তারা। পুলিশ বাধা দিলে একপর্যায়ে তারা পুলিশের ওপর হামলা ও দুইপক্ষের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় আহত হন পুলিশ কর্মকর্তা এসআই আব্দুল আলীম, এএসআই গিয়াস উদ্দিন, সদস্য নয়ন, মেহেদী, সাংবাদিক মীর ফরহাদ হোসেন সুমন, জেলা যুবলীগ সভাপতি সালাহ উদ্দিন টিপু, সদর উপজেলা যুবলীগ নেতা ও জেলা পরিষদ সদস্য মাহবুবুর রহমানসহ ১০ জন।
পরে পুলিশ ১০টি মোটরসাইকেল জব্দ করে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে যুবলীগ নেতা মাহবুব, ছাত্রলীগ নেতা আশেক, রোকন, সাইমুন, রনিসহ ছয়জনকে আটক করে।
লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার আ স ম মাহাতাব উদ্দিন বলেন, ‘হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজনের ওপর হামলার চেষ্টা করে দুষ্কৃতকারীরা। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ১২ জনকে আটক করে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলছে।’
এ ব্যাপারে জেলা যুবলীগের সভাপতি এইচ এম সালাউদ্দিন টিপুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংঘর্ষে তিনি নিজেও আহত হয়েছেন। এ ব্যাপারে তিনি আর কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান।