X
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
৬ বৈশাখ ১৪৩২

রাষ্ট্র-দর্শনে নারীর অবস্থান

ড. শ্যামল দাস
১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:২৭আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:২৭

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দেড় মাস গেলো। অনেকেই এই সময়ের খতিয়ান নিয়ে আলোচনা করছেন। যারা বর্তমান সরকারের সমর্থক তাদের এই খতিয়ান শুরু হয়েছে আগের সরকারকে গালাগালি করে। আগের সরকারও তাদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য বিএনপি- জামায়াতকে গালাগাল করতো। এ থেকে মনে হয় আমাদের মুক্তি নেই। নিজের দায় নিজের কাঁধে নেওয়ার সাহস এবং সততার অভাব আছে এই সমাজে। এটি সংস্কার করবে কে?

যাহোক, বিভিন্ন সেক্টরে উন্নয়নে তারা আরও সময় চেয়েছেন। কাজেই আরও কিছু সময় তাদের দেওয়া যেতেই পারে। ১৬ বছরের অনিয়মকে ঠিক করতে অবশ্যই সময় প্রয়োজন। যদিও এই সরকারের প্রধান কাজ একটি নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা।

আমি আজকের লেখায় এ সরকারের নারী বিষয়ক মূল্যবোধ নিয়ে কিছু কথা বলবো। এর একটি বিশেষ কারণ হলো, বর্তমান সময়ে যারা ক্ষমতায় আছেন এবং তাদের যারা মনেপ্রাণে সমর্থন দিচ্ছেন, তাদের সবাই রাষ্ট্র এবং সমাজে যেসব পরিবর্তন আনতে চাইছেন বা আনছেন, সেগুলোর সামাজিক দর্শনে নারীর অবস্থানটি আমাদের বোঝা দরকার। আমি এখানে বর্তমান সময়ের ক্ষমতার ডিসকোর্সটি আলোচনায় এনেছি এর অন্তর্নিহিত দ্বান্দ্বিকতা তুলে ধরার জন্য।

আমি প্রথম ধাক্কাটি খাই যখন দেখলাম শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অসংখ্য মানুষ গণভবনে গিয়ে মহানন্দে লুটপাট চালালো। এমনকি গণভবনে পাওয়া নারীদের অন্তর্বাস প্রদর্শন করে বিকৃত অঙ্গভঙ্গি করলো। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি না এরা এই আন্দোলনের স্পিরিট অন্তরে ধারণ করতে পেরেছে।

দুঃখের বিষয় হলো আমরা বুদ্ধিজীবীরা চুপচাপ দেখে গেলাম। একটা সামান্যতম প্রতিবাদও হলো না এই বিকৃত ঘটনাটির। নারীত্বের অবমাননাও যেন ঠিক আছে, কারণ আমরা হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়েছি, কাজেই পারভার্ট সংস্কৃতির প্রকাশ ঘটাতেই পারি। যেহেতু শেখ হাসিনা এত এত মানুষকে হত্যা করেছেন, নিপীড়ন করেছেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা টিকিয়ে রেখেছেন,  কাজেই তার গৃহে পাওয়া অন্তর্বাস নিয়ে উল্লাস হতেই পারে। খেয়াল করলে দেখা যাবে- তার সরকারের কোনও পুরুষ ক্ষমতাবানের অন্তর্বাস নিয়ে এমনটি হয়নি। কারণ কোনও ক্ষমতাবান যদি হয় “মেয়ে মানুষ” তবে “পুরুষ” দ্বারা ক্ষমতাহীন হওয়ার পর তার শারীরিক নিগ্রহটাই করতে হয় সবার আগে। ক্ষমতাহীন পুরুষ যখন ক্ষমতার মসনদে উঠে কোনও ক্ষমতাবান নারীকে পরাজিত করে, তখন প্রথম কাজ হলো উৎসব উদযাপন। সেটা যেভাবেই হোক।

মিসোজিনিস্টরা নারীর যে বৈশিষ্ট্যগুলোকে বড় করে দেখে সেগুলোর মধ্যে প্রধান হচ্ছে- তাদের দৈহিক সৌন্দর্য, যৌন আবেদন, স্বভাবের মিষ্টতা এবং নম্রতা বা বশ্যতা বা আজ্ঞাবহ থাকার মানসিকতা। এর ব্যতিক্রম নারী সম্পর্কে তাদের রেটিং নামিয়ে দেয়। মোটামুটিভাবে নারী এদের কাছে সুন্দরী এবং যৌন আবেদনময়ী হওয়ার সাথে সাথে তাদের মধ্যে পুরুষের আজ্ঞাবহ থাকার মানসিকতা থাকতে হবে, যেটিকে মিসোজেনিস্টরা চরিত্রের “মিষ্টতা” বা “নম্রতা” হিসেবে দেখেন।

এগুলোর ব্যতিক্রম হলেই তাদের কাছে নারী “খারাপ ” (“Bad Girl বা Woman”)। মোটামুটিভাবে নারী ক্ষমতাবান হলে তাদের মধ্যে তথাকথিত নম্রতা বা মিষ্টতা থাকে না বা থাকবে না এটাই স্বাভাবিক। এই মিসোজিনিস্টদের চোখে ক্ষমতাবান নারী তখন অবশ্যই 'খারাপ মেয়ে'; তিনি শেখ হাসিনা বা খালেদা জিয়া বা ইন্দিরা গান্ধী কিংবা মার্গারেট থ্যাচার যেই হন না কেন। তাই বলে এই 'খারাপ মেয়ে'র প্রতি মিসোজিনিস্ট পুরুষের যৌন আকর্ষণ কমে না; বরং এদের “খারাপত্বের” প্রতিবিধানে এই কৌশলটি প্রয়োগ করার একটা সুপ্ত বাসনা মিসোজিনিস্টদের মনে কাজ করে। এরই ফলে ক্ষমতাচ্যুত নারীর প্রতি তাদের ক্ষোভ প্রকাশের মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায় এই অবদমিত কামনা বা বাসনা। এখানে নারীর বয়স, জাত, ধর্ম ও সম্পর্ক কোনও কিছুই ফ্যাক্টর নয়; তিনি একজন নারী, এই পরিচয়ই মুখ্য। এ ব্যাপারটি আমরা বিভিন্ন পর্যায়ে দেখেছি। শোনা যায়, বিডিআর বিদ্রোহকালেও এটি ঘটেছিল। তো, স্বাভাবিকভাবে এটি ঘটার কথা ছিল শেখ হাসিনার বেলায়।  

হয়তো সেসব বিকৃত তরুণেরা (যারা অবশ্যই আন্দোলনকারী নন) এতদিনে একজন নারীর কাছে নিজেদের ক্ষমতাহীন ভেবেছেন। কাজেই শেখ হাসিনা শারীরিকভাবে অনুপস্থিত থাকলেও তার গৃহে পাওয়া অন্তর্বাস হয়ে উঠেছে ক্ষমতা হারানো একজন নারীর সিম্বল।

এই প্রজাতির পুরুষদের মনের যে অবদমন সেটিরই প্রকাশ ঘটেছে সেদিন। আমার প্রত্যাশা ছিল এই সরকারের প্রধান যাকে নারীর ক্ষমতায়নের একজন পুরোধা বলে মনে করেন অনেকে, সেই তিনি অন্তত এ কাজটির সমালোচনা করবেন। কিন্তু তিনি করেননি, অন্য কোনও উপদেষ্টাও করেননি।

এই যে নারীর ব্যবহার্য অন্তর্বাস নিয়ে পুরুষ বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি সহকারে অবদমিত যৌনতার ইঙ্গিতপূর্ণ স্থূল অভিব্যক্তি ঘটায় তার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে, এটিকেই প্রতীকী সহিংসতা বা Symbolic Violence বলা যাতে পারে। পুরুষের চোখে আশি আর আঠারো বছরের নারী একই 'বস্তু', কেবলই একটি যৌন বস্তু (Sexual Object)।

যখন এই ঘটনাটিকে উল্লাস বা ক্ষোভ প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে ন্যায্যতা দেওয়া হয় তখনই নারীর শারীরিক বস্তুবাদীকরণের (Sexual Objectification) কাজটি সম্পন্ন করা হয়। এই ব্যাপারটি ঘটেছে আলোচ্য ক্ষেত্রে। এখানে নারীত্বের প্রতীকী অবমাননা বা সহিংসতা বা হিংস্রতার বিরোধিতা না করে “মবের আচরণের কারণে এসব ক্ষোভের প্রকাশ ঘটতেই পারে”, বা “তারা এই অভ্যুত্থানের ফলাফলটি উপভোগ করছে মাত্র” এ জাতীয় বক্তব্য দেওয়ার মাধ্যমে ন্যায্যতা প্রদান করে।

এখানটাতেই আমি আশা করেছিলাম নারীর ক্ষমতায়নের অনুমিত অন্যতম পুরুষ সহযাত্রী মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা এবং ক্যাবিনেটের তিন জন স্বনামখ্যাত নারী অন্তত রুখে দাঁড়াবেন, কিংবা এ ধরনের কাজের সমালোচনা করবেন। আইনের আওতায় না আনতে পারলেও অন্তত তারা এর বিরোধিতা করবেন— এমনটাই আমার প্রত্যাশা ছিল। নারীর প্রতি এমন আচরণ এবং মনোভাব পরিবর্তন করতে না পারলে কোনও সংস্কারই ফলপ্রসূ হবে না, কারণ আমাদের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। পৃথিবীর কোনও দেশ নারীকে আজ্ঞাবহ বা বশ্যতামূলক সামাজিক সম্পর্কের জালে আবদ্ধ রেখে সত্যিকারের উন্নতি সাধন করতে পারেনি। যদি পারতো তবে আমরা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত দেশ বলতাম। লক্ষ করে দেখুন, এ দেশগুলো বাইরে থেকে জনশক্তি আমদানি করে, অথচ তাদের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। তারা শুধু টেকনিক্যাল বা প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রগুলোতে নয়, অন্যান্য সাধারণ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রগুলোতেও পুরুষের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছে।
ইউরোপের অনেক দেশের জিডিপি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে কম, কিন্তু তাদের বাইরে থেকে জনশক্তি আমদানির প্রয়োজন পড়ে না, কারণ তাদের নারী পুরুষ উভয়েই সব ধরনের ক্ষেত্রে কর্মরত আছে।

আমি মাঝে মধ্যেই ভাবি, শেখ হাসিনা যদি শারীরিকভাবে থেকে যেতেন, তাহলে তার সঙ্গে আসলে কী হতো? নানান প্রতিবেদনে দেখেছি তিনি নাকি থাকতে চেয়েছিলেন। পরিবারের অনুরোধে তিনি চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। যদিও এসব তথ্যের কোনও সত্যতা কেউই যাচাই করে নিশ্চিত করতে পারেনি।

ফ্রেডারিক এঙ্গেলস বলেছিলেন, মানব সভ্যতার ইতিহাসে প্রথম নির্যাতিত গোষ্ঠীটির নামই ছিল “নারী”। এঙ্গেলস যে কতটা সঠিক ছিলেন তা আমরা নারী দেহকে যে শুধুই যৌন চাহিদা মেটানোর বস্তু ভাবি তা থেকেই বোঝা যায়; নারীর ব্যবহার্য জিনিসপত্রও তখন আমাদের কাছে তার শরীরের সমতুল্য হয়ে যায়। এখানে নারী তার শ্রেণিগত অবস্থানকেও অতিক্রম করে যান। অনেক পুরুষের কাছেই মা, খালা, নানি, দাদি এসবের কোনও অর্থ থাকে না; নারী শুধুই নারী। আমাদের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান যদি কঠোরভাবে প্রতিবাদ করতেন, তবে সমাজে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন হতো, বার্তাও যেত। আমার ধারণা তিনি শেখ হাসিনার প্রতি উষ্মার কারণেই হয়তো কিছু বলেননি। শেষ বিচারে ভালো মানুষ পুরুষরাও পুরুষই তো! যারা ক্ষমতার প্রতীক, শৌর্যবীর্যের প্রতীক।

তবে ওই সময় আমার খারাপ লেগেছিল এবং আশাটা একটু ভিন্ন ছিল। নিজে পুরুষ হওয়ার কারণেই হয়তো প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে একটু অন্য রকম আশা ছিল। হলো না সেটি। তাই এখন পুরুষ হিসেবে আমি লজ্জিত। আমার মনে হয়েছে এমন বিকৃত উল্লাসকে সমালোচনা না করে এক ধরনের নীরব বৈধতা দেওয়া হলো।

এটি আমার শুরুতেই মানতে অসুবিধা হয়েছে। কারণ আমি বিশ্বাস করি, রাষ্ট্রীয় সংস্কার করার জন্য প্রথম উদ্যোগগুলোর একটি হচ্ছে এই সমাজের নর্মেটিভ চিন্তার সংস্কার করা; বিভিন্ন সংখ্যালঘু, যেমন নারী, ধর্মীয় ও অ্যাথনিক গোষ্ঠী ও অন্যান্য গোষ্ঠীর প্রতি সম্মান প্রদর্শনটি নিশ্চিত করতে হবে- এসব বিষয়ে বৈষম্য দূর করতে হলে।

যেকোনও সমাজের প্রগতিশীলতার মাপকাঠিগুলোর মধ্যে সবার আগে স্থান হচ্ছে সমাজে নারীর প্রতি পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন সেটি। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থার মিলেনিয়াম লক্ষ্যগুলোতেও এর প্রতিফলন দেখা যায়। এই বাংলাদেশেও বিগত ৩৩ বছর সরকারপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন দু’জন নারী। এমনকি নব্বইয়ের দশকে আরেকজন স্বৈরাচার শাসকের পতন ঘটেছিল এই দুই নারীর নেতৃত্বে। আর এবার তাদেরই একজনের পতন হলো স্বৈরাচারের তকমা নিয়ে।

অথচ স্বৈরাচারী শাসক হিসেবে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করলেও তার শাসনকালে নারীর ক্ষমতায়ন ঘটেছিল, যেটি অস্বীকারও করা যাবে না। এই বিশেষ ঘটনাটি বাংলাদেশ নামক দেশটিতে পুরুষের মনে কি নারীর প্রতি কুসংস্কারাচ্ছন্ন যে মিসোজেনিক চিন্তা সেটিকে প্রতিষ্ঠা করেছে? এই প্রশ্নটিও এখন করা যায়।

অর্থনৈতিক ক্ষেত্র ছাড়াও কয়েকটি দেশের উন্নয়নের মাপক হিসেবে সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রকেও বিবেচনায় নেওয়া হয়- আজকের যুগে যেখানে নারীর সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থানকে গণ্য করা হয় উন্নয়নের পরিমাপক হিসেবে। নারীকে যদি পুরুষের মতো শুধুই একজন মানুষ হিসেবে ভাবা হয় যৌন বস্তু না ভেবে তবে নারীর ক্ষমতায়ন ঘটবে দ্রুতগতিতে যেটি সামাজিক উন্নয়নে একটি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে অনেক দূর।

শেখ হাসিনা শত দমন-পীড়ন করেছেন। ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছেন। শেষ সময়ে ছাত্রদের বুকে গুলি চালিয়েছেন। তবে তিনি নারীকে বিভিন্ন পদ পদবি দিয়ে লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য কিছুটা কমিয়েছিলেন। দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো সাংস্কৃতিক উন্নতি করতে পারেননি। উল্টো মৌলবাদীদের তিনি পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছিলেন। এর পেছনেও ভোটের রাজনীতি ছিল। নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে সাংস্কৃতিক মন এবং মননের সংস্কার না করলে বাংলাদেশের সামাজিক উন্নয়ন কখনোই ঘটবে না—এটিই নতুন উন্নয়ন প্যারাডাইমের সার কথা, যা শেখ হাসিনা কেবল বস্তুতান্ত্রিকতা দিয়ে বুঝেছিলেন, কিন্তু সাংস্কৃতিক মান বা মূল্যবোধকে খুব বেশি বিবেচনায় নেননি। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ বিষয়টি বিবেচনায় নেবেন সংস্কারের জন্য, আমি এও আশা করি। আমি জানি তিনি নিশ্চিতভাবে শক্ত হাতে এই কাজটি করতে পারবেন।  

লেখক: অধ্যাপক, সমাজবিজ্ঞান ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি, এলিজাবেথ সিটি স্টেট ইউনিভার্সিটি (নর্থ ক্যারোলিনা)।

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
হিন্দু নেতা ভবেশ চন্দ্র রায় হত্যা : বাংলাদেশকে আবারও সতর্ক করলো ভারত
হিন্দু নেতা ভবেশ চন্দ্র রায় হত্যা : বাংলাদেশকে আবারও সতর্ক করলো ভারত
মাখন কীভাবে বানাবেন জেনে নিন
মাখন কীভাবে বানাবেন জেনে নিন
ভর্তুকি মূল্যে পাটের ব্যাগ সরবরাহ করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
ভর্তুকি মূল্যে পাটের ব্যাগ সরবরাহ করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
সালিশের নামে বাড়ি ভাঙচুর-লুটপাট: যশোরে বিএনপির দুই নেতাকে বহিষ্কার
সালিশের নামে বাড়ি ভাঙচুর-লুটপাট: যশোরে বিএনপির দুই নেতাকে বহিষ্কার
সর্বশেষসর্বাধিক