X
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
৭ বৈশাখ ১৪৩২

কেন হলো এমন পতন?

আমিনুল ইসলাম সুজন
০৬ আগস্ট ২০২৪, ২০:১৯আপডেট : ০৬ আগস্ট ২০২৪, ২০:৫৯

বাংলাদেশে নতুন গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। ইতোমধ্যে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন। নির্বাচনের ছয় মাসের মধ্যে এমন বিপর্যয় অতীতে কোনও সরকারের হয়নি। প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালের খালেদা জিয়ার বিএনপি সরকারও স্বল্প সময় ক্ষমতায় ছিল, কিন্তু তার প্রেক্ষাপট ভিন্ন ছিল। সে সময়ের গণআন্দোলনের দাবির মুখে বিএনপি সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইন পাস করে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে পদত্যাগ করেন। খালেদা জিয়া দেশ ছেড়েও পালিয়ে যাননি। ৯০ সালে পতনের পর এরশাদও পালিয়ে যাননি। শেখ হাসিনার দেশত্যাগ দীর্ঘমেয়াদে আওয়ামী লীগকে সংকটে ফেলবে।

সোমবার (৫ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার এমন পরাজয় অনেকেই কল্পনা করেননি। কিন্তু গত ১৬ বছরে মানুষের মনে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তারই চূড়ান্ত পরিণতি এ গণঅভ্যুত্থান। তিনি ও তাঁর দলের নেতাকর্মীরা সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের প্রেক্ষাপট তৈরি করেছেন। উন্নয়ন তত্ত্বকে সামনে নিয়ে মানবাধিকার, সুশাসন ও জবাবদিহি, ন্যায়বিচার, গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়েছেন। তার লোকজন ব্যাপক আকারে লুটপাট করেছে, ব্যাংক খালি করেছে, বিদেশে অর্থপাচার করেছে। বিনা কারণে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হামলা-মামলায় ব্যস্ত রাখা হয়েছে। তিনি নিজে জাতীয় পার্টি ও জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে সহিংস আন্দোলন করেছেন, সেই তিনি ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার মানসে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান সংবিধান থেকে বাদ দিয়েছেন।

গত কয়েকটি নির্বাচন কেমন হয়েছে সারা পৃথিবীর মানুষ জানে। অথচ ২০০৮ সালে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বিজয়ের পর যে সহনশীলতা ও ধৈর্য প্রয়োজন ছিল, তা দেখাতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে আওয়ামী লীগ।

সর্বত্র একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। দলকেও গণতন্ত্রহীন করে তুলেছেন। ত্যাগীদের দূরে সরিয়ে দিয়েছেন। তিনি আশপাশে এমন সব অযোগ্যদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছেন যারা তাকে মানুষের ক্ষোভ সম্পর্কে কোনও প্রকৃত তথ্য দেয়নি। তার সরকার গঠিত কমিটির তদন্তে যাদের নাম এসেছিল তাদের তিনি উপদেষ্টা বানিয়ে সরকার চালিয়েছেন। তিনি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ব্যক্তিগত আক্রমণ বেশি করতেন। খালেদা জিয়া ও সারা পৃথিবীতে শ্রদ্ধেয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পদ্মা নদীতে ‘চুবানো’র কথা বলছেন। তিনি ড. কামাল হোসেন, অধ্যাপক আনু মুহম্মদকে আক্রমণ করে কথা বলেছেন। তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের শীর্ষস্থানীয় পর্যায়ের এমন কেউ নেই যিনি তার আক্রোশের শিকার হননি। যারা দলীয় রাজনীতির বাইরে, তেমন কেউ যদি তার সরকারের কোনও নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতেন তিনি তাদেরও ব্যক্তিগত আক্রমণ করতেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক মোড়কজাত দুধের গবেষণা করে শেখ হাসিনার রোষানলে পড়েন। ছাত্রদের যৌক্তিক আন্দোলনে সহানুভূতি না দেখিয়ে তিনি ছাত্রছাত্রীদের ঢালাওভাবে ‘রাজাকারের নাতি-পুতি’ আখ্যা দেন। তার মুখের অভিব্যক্তি ছিল আক্রমণাত্মক। এসব তিনি কেন করেছেন, তিনিই ভালো জানেন। শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, তার অনুসারীদের অনেকেই তাকে অনুসরণ করেছেন।

ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ফজলে নুর তাপস তাঁর মাতৃতুল্য এড. সুলতানা কামালকে বুড়িগঙ্গার ময়লা পানিতে চুবানোর কথা বলেছেন। যে তাপসকে সুলতানা কামাল শৈশবে কোলেও নিয়েছেন জানা যায়।

অথচ ২০০৮ সালের বিপুল বিজয়ের পর বঙ্গবন্ধু কন্যার সুযোগ ছিল ভালো কাজের মাধ্যমে আরও বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করার, কিন্তু তিনি দম্ভ, অহমিকার কাছে পরাস্ত হয়েছেন। মানুষের মধ্যে দ্রব্যমূল্য, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সর্বত্র স্বেচ্ছাচারিতায় যে ক্ষোভ ক্রমান্বয়ে তৈরি হয়েছে তা তিনি অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তার সরকার উন্নয়নকে যেভাবে চিত্রায়িত করেছে তা মানুষের কাছে হাস্যকর হয়ে উঠে সে যখন বাজারে যায়। জীবনযাত্রার ব্যয় যে হারে বেড়েছে, মানুষের মধ্যে বৈষম্য বেড়েছে, তা সমাধানে যৌক্তিক পদক্ষেপ লক্ষ করা যায়নি। বরং বৈধ আয়ের চেয়ে অবৈধ আয় বৈধ করার জন্য কর কম বলে মানুষের ক্ষোভ বেড়েছে। ফুটপাত, গণপরিবহন ও পণ্যপরিবহন, রাস্তাঘাট নির্মাণ– সর্বত্র প্রকাশ্য চাঁদাবাজি।

সর্বশেষ, ২০২৪ সালের জুলাই মাস, ১৭ থেকে ১৯ তারিখে মাত্র আন্দোলন দমন করতে তিন দিনে আড়াইশর বেশি (প্রকৃত সংখ্যা এখনও জানা যায়নি) মানুষ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। হাজার হাজার মানুষ আহত হয়। এত বিপুল সংখ্যক মানুষের মৃত্যু এর আগে কখনও বাংলাদেশ দেখেনি।

বাংলাদেশের ৫৩ বছরে কোনও সরকারই নিজ দেশের মানুষের ওপর এমন নির্বিচারে গুলি করেনি। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ বিবৃতি দিয়ে বলেছে অন্তত ৩২ জন শিশু হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে, যা তাঁর দুজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেন। মানুষের হাতে হাতে ক্যামেরা। হেলিকপ্টার থেকে পানি ছোড়া হয়েছে– এ মিথ্যা মানুষ বিশ্বাস করবে কেন? বরং হেলিকপ্টার থেকে নির্বিচারে গুলি করার কারণে ছাদে, ঘরের ভিতরে, ঘরের বারান্দায় নিরীহ শিশু, নারী মারা গেছেন। এত মানুষ খুন করে তা ইন্টারনেট বন্ধ করার মাধ্যমে আড়াল করতে চেয়েছেন। কিন্তু মানুষ সবই জেনেছেন ও দেখেছেন।

আন্দোলন দমাতে সরকার মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দেয়। যদিও তার সরকারের আইসিটি প্রতিমন্ত্রীসহ ভিপিএনের মাধ্যমে বিভিন্ন নেতা এসব ব্যবহার করে যান। এ ধরনের কাজ সরকারের নৈতিকতাকে সাধারণের কাছে আরও দুর্বল করে তোলে। তিনি প্রত্যয় নামক পেনশন স্কিমের মাধ্যমে শিক্ষকদের প্রতিপক্ষ বানালেন। ফলে একই সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রদের কোটা সংস্কার ও শিক্ষকদের পৃথক আন্দোলন শুরু হয়।

ছাত্ররা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয়ে সীমিত রেখেছিল। তাদের ডেকে একটু কথা শুনে ও মাথায় হাত বুলিয়ে শান্ত করা যেত। কিন্তু আদালতের দোহাই দিয়ে কালক্ষেপণ করা হয়েছে, আন্দোলন নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে একাধিক নেতা-মন্ত্রী বক্তব্য অব্যাহত রাখেন। চীন থেকে ফিরে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তিনি যে সংবাদ সম্মেলন করেন, সেখানে দুজন সাংবাদিকের উসকানিমূলক প্রশ্নের বিপরীতে যে উত্তর দেন তা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ক্ষুব্ধ করে। আওয়ামী লীগের টানা ৩ মেয়াদের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের পর ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নিরীহ ছাত্রছাত্রীদের ওপর সশস্ত্র আক্রমণ করে। এসব ঘটনায় আন্দোলন আরও গতিশীল হয়, এ ঘটনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও যুক্ত হয়।

যখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলো, তখন বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র বলে চালাতে চেষ্টা করলো। এ আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াত সুবিধা পেলেও মানুষ সরকারকে বিশ্বাস করেনি। কারণ, গার্মেন্টস শ্রমিকেরা যখন বেতন বৃদ্ধির আন্দোলন করে, তখনও বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র বলে প্রচার করে এবং ছাত্রলীগ-যুবলীগ অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে তাদের দমন করে। নিরাপদ সড়কের আন্দোলনে ২০১৮ সালে কোমলমতি শিশুদের অরাজনৈতিক আন্দোলনকেও বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র হিসাবে দেখেছিল এবং নিষ্ঠুরভাবে দমন করা হয়েছিল।

আন্দোলনে সর্বশেষ পেরেক ঠুকে দেয় পুলিশ।

এক. রংপুরে আবু সাঈদকে খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়। আবু সাঈদ পড়ে যাওয়ার পরও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি। এ ঘটনায় কোনও দুঃখ প্রকাশ করা হয়নি, দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, মানুষ এসব সরাসরি দেখেছে, বরং মিথ্যা মামলা করা হয়, এ ঘটনায় এক নিরপরাধ কিশোরকে আটক করা হয়। এসব ঘটনা সাধারণ মানুষকে ক্ষুব্ধ করেছে।

দুই. ডিবি পুলিশ ৬ সমন্বয়ককে জোর করে উঠিয়ে নিয়ে বন্দি করে জোরপূর্বক বিবৃতি পাঠ করায়। যা কেউ বিশ্বাস করেনি।

তিন. বাড্ডা এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনে একজন শিক্ষার্থী ঝুলে ছিল, তাকে উপর্যুপরি গুলি করে হত্যা করা হয়।

চার. কারফিউর আগে ও কারফিউ চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বিচারে গুলি করেছে, এতে ব্যাপক মানুষের প্রাণহানি ঘটে। ভবনের ছাদে, ঘরের বারান্দায়, হাসপাতালের বারান্দায়, দোকানের ভিতরে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানুষ মারা যায়।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী যেভাবে ভিপিএন ব্যবহার করে ফেসবুক ব্যবহার করেছেন, সেভাবেই ছাত্রছাত্রীরাও ফেসবুক ব্যবহার করে ঘটনাগুলো সামনে এনেছেন।

পাঁচ. এসব ঘটনায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের অস্ত্র হাতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আক্রমণ করতে দেখা গেছে, অনেকের ছবি গণমাধ্যমে ছাপা হয়েছে, তাদের আটক না করে গণগ্রেফতার শুরু হলো। নতুন আরেক সংকট দেখা দিলো।

অনেক শিক্ষার্থী, এমনকি অল্প বয়সীদের আটক করা হলো। গণহারে রিমান্ডে নেওয়া হলো।

ছয়. ছাত্রদের বাঁচাতে শিক্ষকেরা এগিয়ে এলে পুলিশ তাদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করে, যা ছাত্রদের আরও ক্ষুব্ধ করে।

সাত. সম্পদহানির ঘটনায় বিএনপি-জামায়াত ও শিক্ষার্থীদের দায়ী করা হলো। চট্টগ্রামে বিআরটিসি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় সিসিটিভি ক্যামেরার সাহায্যে যাকে আটক করা হলো, সে বললো শ্রমিক লীগের নেতা তাকে টাকা দিয়েছে আগুন দেওয়ার জন্য।

এছাড়া, মেট্রো স্টেশন, বিটিভি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর, সেতু ভবন ও বিআরটিএ ভবন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলো। কিন্তু এসব ঘটনায় পুলিশ কোনও প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেয়নি। এসব ঘটনায় কেউ মারা যায়নি। এতে ঘটনাসমূহ নিয়ে সরকারবিরোধী পক্ষ প্রচারণার সুযোগ পায় যে তাদের বিপদে ফেলার জন্য এসব করা হয়েছে।

ফলে কোটা সংস্কার আন্দোলন বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার পর এক দফায় উপনীত হয়। অর্থাৎ সরকারের পদত্যাগ দাবি করে। এতে আওয়ামী লীগ আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। ফলে, নতুন করে সংঘাত শুরু হয় এবং ৪ আগস্ট শতাধিক মারা গেছেন, যার মধ্যে পুলিশ, শিশু, শিক্ষার্থী, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী রয়েছে।

এতে মৃত্যু মানুষকে ব্যথিত করে। কিন্তু তাঁদের অবস্থান অনড় থাকে। পরিস্থিতি অনুধাবন করে সেনাবাহিনী দেশকে গৃহযুদ্ধ থেকে রক্ষায় এগিয়ে আসেন। ইতোমধ্যে সব হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার ও আটককৃতদের মুক্তির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়ে শিগগিরই দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনবে, এ প্রত্যাশা করি।

লেখক: ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক

 

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
ভবেশ চন্দ্রের মৃত্যু নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার সংবাদ বিব্রতকর: পুলিশ সুপার
ভবেশ চন্দ্রের মৃত্যু নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার সংবাদ বিব্রতকর: পুলিশ সুপার
চট্টগ্রামে খাল-নালায় ১৫ জনের মৃত্যু, তবু উদাসীন সিটি করপোরেশন ও সিডিএ
চট্টগ্রামে খাল-নালায় ১৫ জনের মৃত্যু, তবু উদাসীন সিটি করপোরেশন ও সিডিএ
টিভিতে আজকের খেলা (২০ এপ্রিল, ২০২৫)
টিভিতে আজকের খেলা (২০ এপ্রিল, ২০২৫)
মির্জা ফখরুলের কাছে অভিযোগ, ১৬ দিনের মাথায় ঠাকুরগাঁও থানার ওসি বদলি
মির্জা ফখরুলের কাছে অভিযোগ, ১৬ দিনের মাথায় ঠাকুরগাঁও থানার ওসি বদলি
সর্বশেষসর্বাধিক