X
শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪
১৫ আষাঢ় ১৪৩১

ইকো রিসোর্ট, বেনজীর ও আমাদের পরিবেশ দিবস উদযাপন

এরশাদুল আলম প্রিন্স
০৫ জুন ২০২৪, ১১:১৪আপডেট : ০৫ জুন ২০২৪, ২০:২২

জীবন ও জলবায়ু আজ একে-অপরের পরিপূরক। জলবায়ু যেমন, জীবন তেমন। জলবায়ু নাজুক তো জীবনও নাজুক। অথচ আজ থেকে তিন দশক আগেও বিশ্বে জলবায়ু ছিল কেবল বিশেষজ্ঞদের অ্যাকাডেমিক আলোচনার বিষয়। আমরা সাধারণ মানুষ এটিকে দূরবর্তী কোনও একটি বিষয় হিসেবেই ভাবতাম। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব যে আমাদের জীবদ্দশাতেই প্রভাব ফেলবে তা আমরা কল্পনাও করতে পারিনি।

আমরা এ দেশের মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব ইতোমধ্যে ভোগ করতে শুরু করেছি। এর প্রতিক্রিয়া দিনকে দিনই বাড়ছে বৈ কমছে না।

জলবায়ু এমনিতেই একটি পরিবর্তনশীল বিষয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জলবায়ুর পরিবর্তন হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। মানুষ থাকলে পরিবেশের কিছু না কিছু ক্ষতি হবেই। তবে, পরিবেশের সে স্বাভাবিক ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা আছে। প্রকৃতির নিয়মেই প্রকৃতির কিছু ক্ষতি বা ধ্বংস হয়। আবার প্রকৃতির নিয়মে প্রকৃতি নিজেই সে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারে। দাবানল হয়, আবার বৃষ্টিতে নতুন বনভূমি জেগে ওঠে।

সিডরে আমাদের সুন্দরবনের অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম সুন্দরবন বুঝি প্রায় ধ্বংসই হয়ে গেলো। কিন্তু না। মাত্র বছর কয়েকের মধ্যেই সুন্দরবন আবার মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। প্রাকৃতিক কারণে প্রকৃতির ক্ষতি প্রকৃতি আবার প্রাকৃতিক নিয়মেই পুষিয়ে নেয়। কিন্তু মানুষ যদি প্রকৃতির ক্ষতি করে তবে প্রকৃতি অধিকাংশ সময় সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারে না। মানুষকে তখন প্রাকৃতিক বিপর্যয় রোধে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হয়।

মানুষ তার নিজের প্রয়োজনেই প্রতিকৃতির পরিবর্তন ঘটায়। গাছ কাটে, পাহাড় কাটে, নদী, খালে বাঁধ দেয়। মানুষ বাঁচার জন্য যা-ই করে তা কোনও না কোনোভাবে প্রকৃতিতে প্রভাব ফেলে। অধিকাংশ সময় সেই প্রভাব হয় নেতিবাচক। সে কারণেই মানুষকে পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণে এগিয়ে আসতে হয়। বিশ্বব্যাপী পরিবেশ সংরক্ষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ভূমিকা রাখার তাগিদটি সেখান থেকেই। 

প্রকৃতি, পরিবেশ বা জলবায়ু যা-ই বলি না কেন, এসব কিছুর প্রধান উপাদানই হচ্ছে মাটি। মাটির ওপরেই এই পৃথিবী। মাটির ওপরেই পরিবেশ, প্রকৃতি, জলবায়ু ও আমরা মানুষ। সে জন্যই আমরা বলি মাটির পৃথিবী। যেহেতু পৃথিবী মাটির, তাই ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য পৃথিবীর মাটির যত্ন নিতে হবে। এ ধরণীর মাটি ঠিক মানে ধরণীও ঠিক। কিন্তু মানুষের বিভিন্ন পরিবেশবিধ্বংসী কাজের ফলে মাটি আজ তার স্বাভাবিক গুণ হারাচ্ছে। মাটি হারাচ্ছে উর্বরতা। মাটি হারাচ্ছে তার স্বাভাবিক গুণাবলি- জৈব ও অজৈব রাসায়নিক সব গুণাবলি। 

মানুষের যেকোনও পরিবেশ বিধ্বংসী কাজের প্রথম শিকারই হচ্ছে মাটি। পানি বা বায়ু ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও মাটি ঠিকই এসব বিধ্বংসী কাজের শিকার হয়। মানুষ মাটিকে এড়িয়ে কিছুই করতে পারে না।

মাটি বা ভূমি ধ্বংসের আরেকটি দিক হচ্ছে ভূমির স্বাভাবিক ব্যবহার না করা। মানে, যুগ যুগ ধরে যে মাটিতে বন ছিল সেখানে কলকারখানা তৈরি করা। হাজার বছর ধরে যেখানে জলাশয় ছিল হঠাৎ সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণ করা। নদী ও খাল ভরাট করে রিভারভিউ রিসোর্ট করা। ইকো রিসোর্টের নামে বিনোদনকেন্দ্র তৈরি করা। বিশাল খাল বা নদীকে সংকীর্ণ করে বা সরু করে তার তীরঘেঁষে রিসোর্ট বা বিনোদনকেন্দ্র তৈরি করা নদীর সঙ্গে এক নিদারুণ রসিকতা। ভূমির এই দখলের সঙ্গে জড়িত থাকে অনেক রাঘববোয়াল।

সম্প্রতি সাবেক পুলিশ আইজির ভূমিদখলকাণ্ড দেশের প্রধান আলোচ্য বিষয়। গোপালগঞ্জে তিনি সাধারণ মানুষের কৃষি ও বসতির শত শত বিঘা জমি দখল করে সাভানা ইকো রিসোর্ট করেছেন। এছাড়া গাজীপুরে বন কেটে ভাওয়াল রিসোর্ট করার পেছনে রয়েছেন সদ্য অবসরে যাওয়া আইজিপি বেনজীর। এছাড়া অন্যান্য জায়গায়ও মানুষের কৃষি ও বনের জমি দখল করে এ জাতীয় বিনোদনকেন্দ্র করার কথা শোনা যায়। সুন্দরবনেও চলছে ইকো রিসোর্ট করার হিড়িক। রাষ্ট্র, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতার যোগসূত্র ছাড়া এসব করা যায় না। এসব যোগসূত্র ছিন্ন না করলে ভূমি উদ্ধার নিয়ে পরিবেশ সচেতনতা নেহায়েত এক উপহাস ছাড়া আর কিছু নয়।

এ দেশে এখন সেটিই হচ্ছে। নদী, জলাশয়, বন উজাড় করে রিসোর্ট করা হচ্ছে। কিন্তু নাম দেওয়া হচ্ছে ইকো রিসোর্ট। এছাড়া হাজার বছর ধরে যে বনভূমি গড়ে উঠেছে সেখানে গড়ে তোলা হচ্ছে ইটের ভাটা বা অন্য কোনও শিল্পকারখানা। খুব বেশি দূরে নয়। গাজীপুর গেলেই দেখা যাবে এই চিত্র। রাস্তার দুই ধারে হয়তো কিছু শালবন দেখা যাবে। কিন্তু একটু ভেতরে গেলেই দেখা যাবে সেসব বন দখল করে কলকারখানা তৈরি করা হয়েছে। বিত্তশালীরা বাংলো তৈরি করছেন।

এছাড়া আমরা সাধারণ মানুষও সচেতন নই। সাধারণ মানুষও বনের গাছ কেটে বসতি তৈরি করছে। সরকার সেসব দেখেও দেখছে না। সরকারি বন, দেশের সম্পদ এভাবেই আমাদের চোখের সামনে ক্রমাগত ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। যেখানে একসময় বানর বাস করতো সেখানে আজ মানুষ বাস করছে। যে বন ছিল জীববৈচিত্র্যে ভরপুর, সে বন আজ বিরানভূমি। গাজীপুরের কতভাগ বন এখন অবশিষ্ট আছে সেটি আজ বড় প্রশ্ন। এভাবে চললে হয়তো আজ থেকে দুই তিন দশক পরে গাজীপুরে বন বলতে কিছুই থাকবে না। টাঙ্গাইলের বনভূমিরও একই অবস্থা।

কয়দিন আগে গিয়েছিলাম গাজীপুরে এমন এক রিসোর্টে। সকালের নাস্তার সময় সেখানে এক বানর এসে হাজির। রিসোর্টের ছেলেরা বললো কয়দিন আগেও এখানে বেশ কয়েকটি বানর আসতো। এখন শুধু একটি বানর আসে। বাকিরা আর আসে না। তাদের বক্তব্য, হয়তো মারা গেছে, না হয় মানুষ মেরে ফেলেছে বা ধরে নিয়ে গেছে। তাদের সহজ স্বীকারোক্তি- ওরা (বানররা) কী করবে, আমরা তো ওদের জায়গা দখল করেছি। এসব ইকো রিসোর্ট কোনোভাবেই ইকোবান্ধব না। পরিবেশ ও প্রকৃতির মৃত্যু ঘটিয়ে পরিবেশবন্ধু হওয়া যায় না। সবাইকেই বিষয়টি মনে রাখতে হবে। সরকার সবকিছু দেখেও দেখছে না, শুনেও শুনছে না, গুনছেও না। এর ফল একদিন সবাইকে গুনতে হবে।

আমাদের কোনও ভূমি ব্যবহার নীতিমালা নেই। যে যেভাবে পারছে ভূমির ব্যবহার করছে। এই ঢাকা শহরে একাধিক প্রবহমান খাল ছিল। একাধিক জলাশয় ছিল। অনেক মাঠ ছিল, উদ্যান ছিল। আজ একটিও খাল নেই। মাঠ তো নেই বললেই চলে। যে কয়টি মাঠ আছে তাও মানুষের হাতের নাগালের বাইরে। বিভিন্ন ক্লাব ও সোসাইটির দখলে। টাকা দিলে সেখানে প্রবেশাধিকার পাওয়া যায়। খালের চিহ্নও আজ নেই। ধানমন্ডি লেক, হাতিরঝিল, গুলশান লেক ছাড়া এই ঢাকা শহরে আজ কোনও জলাধার কি আছে? এই বিশাল ঢাকার পানি কোথায় গড়াবে? কেন একটু বৃষ্টি হলেই ঢাকা কোমরপানির নিচে তলিয়ে যায় তার উত্তর সবারই জানা। শহরের ড্রেনেজ সিস্টেমের সঙ্গে প্রবহমান খালের সংযোগ নেই।

ঢাকার চারপাশ আজও নদী দ্বারা বেষ্টিত। কিন্তু ঢাকার পানি সেসব নদীতে যেতে পারে না। ফলে ঢাকা শহরই নদী হয়ে যায়। বিদ্যমান লেকগুলোকে সংযুক্ত করে জলযোগাযোগ ব্যবস্থায় এগুলোকে সম্পৃক্ত করতে পারিনি। হাতিরঝিলের এক অংশে যাত্রী চলাচল করছে বটে। কিন্তু ধানমন্ডি লেক, গুলশান লেককে বনানী হয়ে ৩০০ ফিটের নতুন লেকের সঙ্গে সংযুক্ত করতে পারলে সেটি শুধু শহরের সৌন্দর্যই নয়, যোগাযোগ ব্যবস্থায়ও ইতিবাচক প্রভাব ফেলতো। এত টাকা খরচ করে ৩০০ ফিটের লেকটির শুধুই সৌন্দর্যবর্ধন করেছে। কিন্তু সৌন্দর্যের পাশাপাশি আমাদের উপযোগিতার কথাও ভাবতে হবে। 

প্রতিবছর বিশ্বে পরিবেশ দিবস পালিত হয়। পরিবেশ সচেতনতা বাড়াতেই এই দিবসের সূচনা। প্রতিবছর নানান প্রতিপাদ্য সামনে রেখে দিবসটি পালন করা হয়। এ বছরের প্রতিপাদ্য ভূমি পুনরুদ্ধার। ইংরেজিতে এর প্রতিপাদ্য হচ্ছে—‘Land Restoration, Desertification, and Drought Resilience’। বাংলাদেশে প্রতিপাদ্য করা হয়েছে- ‘করবো ভূমি পুনরুদ্ধার, রুখবো মরুময়তা/ অর্জন করতে হবে মোদের খরা সহনশীলতা’। 

মূলত ভূমিকে তার প্রাকৃতিক রূপ ফিরিয়ে দেওয়া, খরা ও মরুময়তা রোধ করার সক্ষমতা অর্জন করাই এ বছরের প্রতিপাদ্য। কিন্তু ভূমি পুনরুদ্ধারে আমাদের অবস্থান কোথায়? আমরা কি বেদখল হওয়া ভূমি পুনরুদ্ধার করতে পারবো? ভূমিকে কি তার প্রাকৃতিক রূপে ফিরিয়ে আনতে পারবো? নতুন করে ভূমি দখল রোধ করতে পারবো?

ভূমির অপব্যবহারই আজকে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য প্রধানত দায়ী। আমরা বনভূমিকে ধ্বংস করেছি। সেখানে মনুষ্য বসতি গড়ে তুলেছি। আমাদের প্রাণী তথা জীববৈচিত্র্য আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। গত ক’বছরে বহু পশু-পাখি ও প্রাণী পৃথিবী থেকে চিরতরে হারিয়ে গেছে। অথচ এই পৃথিবী তাদেরও ছিল। তাদের বেঁচে থাকারও অধিকার ছিল এ পৃথিবীতে। আমাদের চেয়ে তাদের অধিকার মোটেও কম নয়। অথচ আমাদেরই অত্যাচার ও নির্যাতনে তারা পৃথিবী থেকে বিলীন হয়ে গেছে।

বন ধ্বংসের কারণে শুধু ভূমির রূপ পরিবর্তনই করিনি। পুরো প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য ও ইকোসিস্টেমেই আমরা হাত দিয়েছি। ভূমি ও প্রকৃতির এসব ছোট ছোট বিপর্যয় আমাদের মহাবিপর্যয়ের কারণ। আজকে যে একেকটি দুর্যোগ প্রলয়ংকরীরূপে আমাদের আঘাত হানছে তা প্রকৃতিরই প্রতিশোধ।

ভূমির রূপ পরিবর্তন করে আমরা সেখানে পরিবেশের জন্য ভালো কিছু করিনি। আমরা কৃষি জমি ধ্বংস করেছি। আমরা যে বন ও কৃষি জমি ধ্বংস করেছি তার বিপরীতে বৃক্ষ রোপণ করিনি। যেটুকু সবুজ আমরা ধ্বংস করেছি, পৃথিবীকে সেটুকু সবুজ আমরা ফিরিয়ে দিতে পারিনি। আমাদের যেকোনও উন্নয়ন শুরু হয় গাছ কাটার মধ্য দিয়ে। কেউ বাড়ি বানাবে, প্রথমে জমিতে থাকা গাছটা কাটা দিয়ে বাড়ির কাজ শুরু করবে। হ্যাঁ, প্রয়োজনে গাছ কাটা লাগতেই পারে। কিন্তু গাছ বাঁচিয়ে বাড়িটি করা যায় কিনা সেই চিন্তা আমাদের মাথায় আসে না। আমরা নিদারুণ বৃক্ষনিধনকারী এক জাতি। অথচ আমরা সবুজ বাংলাদেশের দাবি করি। কিন্তু এ সবুজ দেশটি যে ধীরে ধীরে ধূসর হয়ে যাচ্ছে সেদিকে আমাদের নজর নেই। ফলে, প্রতিবছরই প্রকৃতি আমাদের কাছে নতুন নতুন রূপে ধরা দেয়। কখনও শীতে ঠান্ডা নেই, কখনও গ্রীষ্মকাল শুরু হলেও শীত শেষ হয় না। কখনও দীর্ঘমেয়াদি খরা আবার কখনও দীর্ঘমেয়াদি শীত। ধীরে ধীরে আমরা মরুময়তার দিকেই এগোচ্ছি।

আমাদের ভূমি রক্ষা, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দিতে হবে। ভূমির ক্ষয়রোধের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। ভূমিদূষণের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে। পাহাড় কাটা রোধ করতেই হবে। পাহাড়-পর্বত, নদীনালা, খাল-বিল ইত্যাদি নষ্ট করা যাবে না। বন উজাড় করে বিনোদন নয়। ভূমি ব্যবস্থাপনার জন্য নতুন একটি আইন হচ্ছে। এ আইনের উদ্দেশ্য হচ্ছে, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, আবাসন, বাড়িঘর তৈরি, উন্নয়নমূলক কার্যক্রম, শিল্পকারখানা ও রাস্তাঘাট নির্মাণকে নিয়ন্ত্রণ করা। এছাড়া, কৃষিজমি, বনভূমি, টিলা, পাহাড়, নদী, খালবিল ও জলাশয় সুরক্ষাসহ ভূমির পরিকল্পিত ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করাও এ আইনের উদ্দেশ্য। আইন হোক- ভালো কথা। কিন্তু সচেতনতার জন্য আইন লাগে না। যে ভুক্তভোগী, বেঁচে থাকার জন্য তার আইন লাগে না। পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের আমরা সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী। কাজেই আমাদের সচেতন হতেই হবে।

লেখক: আইনজীবী, প্রাবন্ধিক

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
গৃহকর্মী শিশু আরিফা ধর্ষণের শিকার?
গৃহকর্মী শিশু আরিফা ধর্ষণের শিকার?
কেন একসঙ্গে স্বেচ্ছামৃত্যুর সিদ্ধান্ত নিলেন তারা?
কেন একসঙ্গে স্বেচ্ছামৃত্যুর সিদ্ধান্ত নিলেন তারা?
কাজ শেষ হওয়ার আগেই দেবে গেলো সেতুর পিলার, তদন্তে কমিটি
কাজ শেষ হওয়ার আগেই দেবে গেলো সেতুর পিলার, তদন্তে কমিটি
জালিলি-পেজেশকিয়ানের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস
ইরানে দ্বিতীয় দফার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনজালিলি-পেজেশকিয়ানের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস
সর্বশেষসর্বাধিক