সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা ধর্ষণ ও চাঁদাোজির পৃথক মামলা দুটি একই আদালতে চলবে না। তবে ধর্ষণ মামলাটি বর্তমান আদালতে চলমান থাকবে। বিবাদী পক্ষের আইনজীবীর দাখিলকৃত আবেদনের শুনানি শেষে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হক চৌধুরী এ আদেশ দেন। এসময় বাদী পক্ষের আইনজীবী দুটি অভিযোগপত্রের বিচারকাজ একই আদালতে চলার জন্য হাইকোর্টে আবেদন করবেন বলে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারককে অবগত করেন।
এসময় আদালত তাদেরকে বলেন, হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত আসার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে ধর্ষণ মামলাটি আদালতে চলমান থাকবে। বুধবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে আদালতে গৃহবধূ ধর্ষণ মামলার ৮ আসামিকে হাজির করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, একই আদালতে দুটি অভিযোগপত্রের বিচার চলতে পারে। আমরা এজন্য আবেদন দাখিল করেছি। কিন্তু শুনানি শেষে আদালত তা না মঞ্জুর করে ধর্ষণ মামলার বিচার আদালতে চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন। এজন্য আমরা হাইকোর্টে আবেদন দাখিল করে দুটি অভিযোগপত্রের বিচার একই আদালতে চলার জন্য আবেদন করবো।
আসামি পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন বলেন, বাদীপক্ষ চাইছেন দুটি মামলার বিচার একই আদালতে চলতে। কিন্তু এটা আদালত মানেননি। অনুমতি নেওয়ার জন্য বাদীপক্ষ হাইকোর্টে যাবেন। তবে ধর্ষণ মামলার বিচারকাজ আদালতে চলবে। যার জন্য বুধবার আদালতে কোনও সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।