X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন ঘর পেয়ে খুশি সুকজান বেগম

পাবনা প্রতিনিধি
২৩ জানুয়ারি ২০২১, ০৪:০৪আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০২১, ০৪:০৪

সারাদিন কায়িক পরিশ্রম শেষে এখন আর ফুটপাত বা অন্যের ঘরে ফিরতে হবে না। ভূমিহীন ও গৃহহীন হতদরিদ্র সুকজান বেগম এখন প্রতিদিন ফিরতে পারবেন নিজ ঘরে। শুধু ঘরই নয়, থাকছে নিজ নামে দুই শতক জমি, স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট, সুন্দর বারান্দাসহ বসবাসের নিরাপদ সুবিধা।

সুকজানের মত ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলো পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া স্বপ্নের বাড়ি। পাবনায় এক হাজার ৮৬ ভূমিহীন ও গৃহহীন পাচ্ছে ‘স্বপ্নের নীড়’। প্রথম পর্যায়ে গৃহহীনদের মধ্যে দুই শতক জমিসহ গৃহ হস্তান্তর করা হবে।

শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারদের মধ্যে এসব বাড়ি হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারদের বিনা টাকায় ঘর উপহার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী সারাদেশের মতো ঈশ্বরদীতেও আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারদের মধ্যে নতুন ঘর উপহার দেওয়া হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে ঈশ্বরদীর ৫০টি পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে নতুন এসব বাড়ি। নতুন ঘর পাওয়া এসব ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষগুলোর চোখে মুখে এখন অনাবিল স্বপ্ন।

বাড়ি পাওয়ার আনন্দে ঈশ্বরদীর দড়িনারিচা পশ্চিম টেংরী এলাকার ভূমিহীন সুকজান বেগমের চোখে ডেকেছে আন্দ অশ্রুর বান। ঘর পেয়ে কেমন লাগছে, জিজ্ঞেস করায় সুকজান বলেন, ‘আমি ছেলে, নাতি ও বোনকে নিয়ে মানুষের জায়গায় কুঁড়েঘর তুলে থাকি। স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনি যে, আমি জমিসহ ইটের একখানা নতুন ঘর পাবো। শেখ হাসিনার সরকার আমাকে ইটের ঘর দিবেন। এই বয়সে ইটের ঘরে থাকতে পারবো। আমি ভীষণ খুশি হয়েছি ঘর পেয়ে। দোয়া করি শেখ মুজিবের বেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য।'

ঈশ্বরদী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, সরকারি ব্যবস্থাপনায় ঈশ্বরদীতে প্রতিটি ঘরের জন্য দুই শতাংশ খাসজমির বন্দোবস্তসহ দুই কক্ষের সেমিপাকা ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। এসব ঘরের প্রতিটিতে একটি রান্না ঘর, টয়লেট ও সামনে খোলা বারান্দা রয়েছে। এই উপজেলার জন্য সম্প্রতি পাবনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের মাধ্যমে ‘ক’ ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত ভূমিহীন ও গৃহহীন ১৯৬টি পরিবারের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। প্রথম পর্যায়ে ঈশ্বরদী উপজেলায় ৫০টি পরিবারকে জমি ও ঘর নির্মাণ করে দিতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মুলাডুলি ইউনিয়নে ৩৩ লক্ষীকুন্ডায় ১০ এবং সাঁড়া ইউনিয়নে রয়েছে ৭টি ঘর। মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৫ লাখ ৫০ হাজার এবং প্রতিটি গৃহনির্মাণে ব্যয় হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরুল কায়েস বলেন, ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য চমৎকার পরিবেশে মানসম্মত টেকসই ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। এসব ঘরে আশ্রয়া পাওয়াদের অধিকাংশই রাস্তার ধারে ফুটপাত বা কারও আশ্রয়ে বসবাস করতেন। তারা এখন প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর উপহার পেলেন। এর ফলে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে। পর্যায়ক্রমে উপজেলার শতভাগ দরিদ্র জনগোষ্ঠী যাদের জমি ও ঘর নাই, তাদের বসবাসের জন্য বাড়ি করে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।



/টিটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
পশ্চিমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চীনকে যা করতে হবে
পশ্চিমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চীনকে যা করতে হবে
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী মিডফিল্ডারকে নিয়ে দুঃসংবাদ
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী মিডফিল্ডারকে নিয়ে দুঃসংবাদ
টেবিলে রাখা ‘সুইসাইড নোট’, ফ্ল্যাট থেকে দম্পতির মরদেহ উদ্ধার
টেবিলে রাখা ‘সুইসাইড নোট’, ফ্ল্যাট থেকে দম্পতির মরদেহ উদ্ধার
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ