প্রথা অনুযায়ী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলো। প্রার্থীরা চাকরির জন্য আবেদনও করলেন। বিদ্যুৎ বিভাগের সচিবের নেতৃত্বে নিয়োগ কমিটি হলো। সেই নিয়োগ কমিটিতে যে ব্যক্তি পরীক্ষা দিয়ে প্রথম হলেন, তাকে নিয়োগ না দিয়ে দেওয়া হলো যিনি তৃতীয় হলেন তাকে। বিগত সরকারের সময় দেওয়া এই নিয়োগের বিষয়ে দুর্নীতির প্রমাণ এসেছে বাংলা ট্রিবিউনের হাতে।
সরকারি নথি ঘেটে দেখা যায়, চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিলেন মাসুদুল ইসলাম। সেখানে দ্বিতীয় হন হাসিবুল হাসান, আর তৃতীয় হয়েছিলেন কাজী আবসার উদ্দিন। কিন্তু নানা নাটকীয়তার পর প্রথম হওয়া ব্যক্তিকে বাদ দিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয় তৃতীয় ব্যক্তি আবসার উদ্দিনকে। তিনি এখনও কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) দায়িত্ব পালন করছেন।
ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হাবিবুর রহমান একইসঙ্গে নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির (এনডব্লিলিউপিজিসিএল) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতেন। সম্প্রতি সরকারের সিনিয়র সচিব হিসেবে তিনি অবসরোত্তর ছুটিতে গেছেন।
নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির ২০২২ সালের ৩১ অক্টোবর তৎকালীন বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমানের সই করা বোর্ড মিটিংয়ের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, ওই বছরের ২৯ অক্টোবর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদে নিয়োগের জন্য আট জনকে ডাকা হয়। তবে পরীক্ষায় অংশ নেন চার জন। তাদের মধ্যে ৯১ নম্বর পেয়ে প্রথম হন মাসুদুল ইসলাম। দ্বিতীয় স্থান পাওয়া হাসিবুল হাসান পান ৮৫ নম্বর। আর কাজী আবসার উদ্দিন আহমেদ ৮৩ পেয়ে তৃতীয় এবং এ এইচ এম মহিউদ্দিন ৮১ নম্বর পেয়ে চতুর্থ হন।
অভিযোগ রয়েছে, চার জনের মধ্যে তৃতীয় হওয়া আবসার উদ্দিন ষড়যন্ত্র শুরু করেন। তিনি সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের ‘স্নেহধন্য’ বলে প্রচার করে প্রভাব খাটিয়ে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দেন।
পানি, বিদ্যুৎ, প্রকৌশল পরিষদ তথা বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের নেতা এবং রাজশাহী অঞ্চলের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার (রাজশাহী-২) ‘ভাগনে’ পরিচয়ে তিনি স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে নিজেকে নিয়োগ দিতে বিদ্যুৎ বিভাগকে বাধ্য করেন।
ওই সময় প্রথম হওয়া মাসুদুল হক ‘প্রকৌশলী নন’ বলেও অপপ্রচার চালানো হয়। যদিও বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ কোনও কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হতে এমন (প্রকৌশলী) যোগ্যতা থাকার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই।
জানা গেছে, নর্থ ওয়েস্ট কোম্পানিতে নতুন প্রকল্প না থাকায়, অবৈধ আয়ের পথ সংকুচিত হওয়ায় আবসার হতাশ হয়ে পড়েন। তবে, কোম্পানিতে যোগদান করেই তিনি নিজের জন্য একটি এবং পরিবারের ব্যবহারের জন্য দুটি গাড়ি বরাদ্দ নেন। একমাত্র চলমান প্রকল্পের সমাপ্তি ঘনিয়ে আসায়, তিনি প্রকল্প ভেরিয়েশনের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে অর্থ আয়ের উপায় খুঁজতে শুরু করেন।
কোম্পানিটির একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আবসার উদ্দিন কোম্পানিতে যোগ দিয়ে হেন কোনও অপকর্ম নেই, যা করছেন না। ম্যানেজমেন্ট মিটিংয়ের নামে ঠিকাদারের অর্থে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে চীনে ভ্রমণের আয়োজন করেন, যা সরকারি আদেশে উল্লিখিত নিয়মাবলির পরিপন্থী। এমনকি, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ওই ভ্রমণ থেকেই ঠিকাদারের অর্থে সিঙ্গাপুরে পরিবার নিয়ে প্রমোদ ভ্রমণে যান। এ বিষয়ে বিষয়ে তার সরকারি আদেশে কোনও উল্লেখ নেই। সরকারি আদেশের বাইরে একজন সরকারি কর্মকর্তা কীভাবে বিদেশ ভ্রমণ করেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
তবে কাজী আবসার উদ্দিন তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমার জানা মতে, আমি তৃতীয় হইনি। স্বাভাবিকভাবেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এখন কারও যদি মনে হয়— এক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে, তাহলে সেটি তদন্ত করে দেখা উচিত।’
সরকারি নথি ঘেটে দেখা যায়, চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিলেন মাসুদুল ইসলাম। সেখানে দ্বিতীয় হন হাসিবুল হাসান, আর তৃতীয় হয়েছিলেন কাজী আবসার উদ্দিন। কিন্তু নানা নাটকীয়তার পর প্রথম হওয়া ব্যক্তিকে বাদ দিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয় তৃতীয় ব্যক্তি আবসার উদ্দিনকে। তিনি এখনও কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) দায়িত্ব পালন করছেন।
ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হাবিবুর রহমান একইসঙ্গে নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির (এনডব্লিলিউপিজিসিএল) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতেন। সম্প্রতি সরকারের সিনিয়র সচিব হিসেবে তিনি অবসরোত্তর ছুটিতে গেছেন।
নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির ২০২২ সালের ৩১ অক্টোবর তৎকালীন বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমানের সই করা বোর্ড মিটিংয়ের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, ওই বছরের ২৯ অক্টোবর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদে নিয়োগের জন্য আট জনকে ডাকা হয়। তবে পরীক্ষায় অংশ নেন চার জন। তাদের মধ্যে ৯১ নম্বর পেয়ে প্রথম হন মাসুদুল ইসলাম। দ্বিতীয় স্থান পাওয়া হাসিবুল হাসান পান ৮৫ নম্বর। আর কাজী আবসার উদ্দিন আহমেদ ৮৩ পেয়ে তৃতীয় এবং এ এইচ এম মহিউদ্দিন ৮১ নম্বর পেয়ে চতুর্থ হন।
অভিযোগ রয়েছে, চার জনের মধ্যে তৃতীয় হওয়া আবসার উদ্দিন ষড়যন্ত্র শুরু করেন। তিনি সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের ‘স্নেহধন্য’ বলে প্রচার করে প্রভাব খাটিয়ে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দেন।
পানি, বিদ্যুৎ, প্রকৌশল পরিষদ তথা বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের নেতা এবং রাজশাহী অঞ্চলের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার (রাজশাহী-২) ‘ভাগনে’ পরিচয়ে তিনি স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে নিজেকে নিয়োগ দিতে বিদ্যুৎ বিভাগকে বাধ্য করেন।
ওই সময় প্রথম হওয়া মাসুদুল হক ‘প্রকৌশলী নন’ বলেও অপপ্রচার চালানো হয়। যদিও বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ কোনও কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হতে এমন (প্রকৌশলী) যোগ্যতা থাকার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই।
জানা গেছে, নর্থ ওয়েস্ট কোম্পানিতে নতুন প্রকল্প না থাকায়, অবৈধ আয়ের পথ সংকুচিত হওয়ায় আবসার হতাশ হয়ে পড়েন। তবে, কোম্পানিতে যোগদান করেই তিনি নিজের জন্য একটি এবং পরিবারের ব্যবহারের জন্য দুটি গাড়ি বরাদ্দ নেন। একমাত্র চলমান প্রকল্পের সমাপ্তি ঘনিয়ে আসায়, তিনি প্রকল্প ভেরিয়েশনের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে অর্থ আয়ের উপায় খুঁজতে শুরু করেন।
কোম্পানিটির একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আবসার উদ্দিন কোম্পানিতে যোগ দিয়ে হেন কোনও অপকর্ম নেই, যা করছেন না। ম্যানেজমেন্ট মিটিংয়ের নামে ঠিকাদারের অর্থে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে চীনে ভ্রমণের আয়োজন করেন, যা সরকারি আদেশে উল্লিখিত নিয়মাবলির পরিপন্থী। এমনকি, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ওই ভ্রমণ থেকেই ঠিকাদারের অর্থে সিঙ্গাপুরে পরিবার নিয়ে প্রমোদ ভ্রমণে যান। এ বিষয়ে বিষয়ে তার সরকারি আদেশে কোনও উল্লেখ নেই। সরকারি আদেশের বাইরে একজন সরকারি কর্মকর্তা কীভাবে বিদেশ ভ্রমণ করেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
তবে কাজী আবসার উদ্দিন তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমার জানা মতে, আমি তৃতীয় হইনি। স্বাভাবিকভাবেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এখন কারও যদি মনে হয়— এক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে, তাহলে সেটি তদন্ত করে দেখা উচিত।’