রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে এসে পৌঁছেছে দ্বিতীয় ইউনিটের জন্য প্রয়োজনীয় একটি যন্ত্র 'ট্রান্সপোর্ট লক'। এটি ইউনিটের জ্বালানি ব্যবস্থাপনার কাজের একটি অংশ। শিগগিরই রিয়্যাক্টর ভবনে এটি স্থাপনের কাজ শুরু হবে।
শনিবার (২৪ আগস্ট) রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি সংস্থা ‘রোসাটমে’র বাংলাদেশের জনসংযোগ সংস্থা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রিয়্যাক্টরের ভেতরের গুরুত্বপূর্ণ এ যন্ত্রটি সিলিন্ডার আকৃতির, যার ওজন ২৩৫ টন, দৈর্ঘ্য ১২ দশমিক ৭ মিটার এবং ব্যাস ১০ মিটার। এটির অন্যতম একটি কাজ হলো কন্টেইনমেন্ট থেকে তেজস্ক্রিয় বস্তুর নির্গমন প্রতিরোধ নিশ্চিত করা এবং একই সঙ্গে অগ্নিপ্রতিরোধ করা। বিদ্যুৎকেন্দ্রের অপারেশন চলাকালীন বিভিন্ন মালামাল মেরামতের জন্য রিয়্যাক্টর প্ল্যান্টের মেইন্টেনেন্স লেভেলে পরিবহন করা ছাড়াও নতুন জ্বালানি লোড এবং ব্যবহৃত জ্বালানি আনলোডের ক্ষেত্রে এ যন্ত্রটির প্রয়োজন হয়।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক আলেক্সি দেইরী জানান, রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিটের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া যেমন যন্ত্রপাতি সরবরাহ ও স্থাপন করা, চালু করা এবং এডজাস্টমেন্টের কাজ স্বাভাবিক গতিতেই এগিয়ে চলছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা নিশ্চিত করেই বলতে পারি যে রোসাটম বাংলাদেশের প্রতি তার অঙ্গীকার যথাযথভাবে পূরণ করছে এবং দেশের জনগণ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মঙ্গলের স্বার্থে নিজস্ব প্রযুক্তির নির্ভরযোগ্যতা, নিরাপত্তার গ্যারান্টি দিয়েছে।
রাশিয়ার আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় রূপপুরে বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে। দুই ইউনিট বিশিষ্ট কেন্দ্রটির মোট উৎপাদনক্ষমতা হবে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট। প্রথম ইউনিটটি চালুর জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে ব্যবহৃত হচ্ছে রাশিয়ার সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, যা সব আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চাহিদা পূরণে সক্ষম।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ ধরা হয়েছে ৬০ বছর। তবে প্রয়োজনে তা আরও ২০ বছর বাড়ানো সম্ভব হবে। দেশের নিরবচ্ছিন্ন মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে এবং বেইজ লোড বজায় রাখতে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।