বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সম্মিলিত ও সমন্বিতভাবে কাজ করলে সফলতা আসবেই। ভালোভাবে টিমওয়ার্ক করলে যেকোনও কঠিন কাজও সহজে সম্পন্ন করা যায়। বিদ্যুৎ বিভাগের সবার মধ্যে ভালো টিমওয়ার্ক ছিল বলেই দ্রুততার সঙ্গে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা সম্ভব হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বার্ষিক কর্মসম্পাদন (এপিএ) অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে আজ এক অনুষ্ঠানে এ চুক্তি সই হয়। এতে ১৬টি দফতর, সংস্থা এবং কোম্পানির সঙ্গে এপিএ স্বাক্ষরিত হয়।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং আপনাদের সবার নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে ২০২২ সালে বিদ্যুৎ বিভাগ ‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২২’ অর্জন করে। তা ছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এপিএ অর্জনেও বিদ্যুৎ বিভাগ প্রথম স্থান অধিকার করেছে। এ সাফল্যের পেছনে বিদ্যুৎ বিভাগের মনিটরিং বেশ প্রশংসনীয় বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি এ সময় বর্তমানে জ্বালানি বিভাগের সাফল্যও সন্তোষজনক বলে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান বিপিএএ বলেন, এ চুক্তির উদ্দেশ্য হলো আমাদের আগামী এক বছর এ চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিরলসভাবে কাজ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলা। পাশাপাশি বিদ্যুৎ খাতকে আরও সমৃদ্ধ করা।
তিনি বলেন, চুক্তির মূলত দুটি দিক। প্রথমত, আনুষ্ঠানিকতা। দ্বিতীয়ত, বাস্তবায়নের দৃঢ়তা। আমরা আজ আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করলাম। এরপর আমরা প্রথম হওয়ার মানসিকতা নিয়ে কাজ করবো। আর এর মাধ্যমেই আমরা ‘ভিশন ২০৪১’-কে সফল করবো।
এ সময় সভায় অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের রেক্টর মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) মুনীরা সুলতানা এনডিসিসহ বিদ্যুৎ বিভাগের বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং বিভিন্ন দফতর সংস্থা ও কোম্পানির প্রধানরা।