কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির উন্নয়নে বিশ্বের ১৭৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৩তম বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। দেশের তরুণদের মধ্যে ৮৪ শতাংশের এআই পরিচালনায় উপযুক্ত দক্ষতা নেই– এমন তথ্য সামনে এনে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) বলেছে, সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া এখনই প্রয়োজন।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর বিসিআই বোর্ডরুমে আয়োজিত ‘মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার জন্য এআই’ শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়। কর্মশালার উদ্বোধন করেন বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ। ট্রেইনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেটকম লার্নিং বাংলাদেশের সিনিয়র ম্যানেজার (বিজনেস ডেভেলপমেন্ট) মো. ইমদাদুল ইসলাম এবং লার্নিং কনসালটেন্ট হাসান মো. জুবায়ের।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমানে দেশের শিল্প খাতের জন্য এআই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশ্ব যখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন বাংলাদেশকেও প্রযুক্তিজ্ঞানে দক্ষ জনবল গড়ে তুলতে হবে। যুবসমাজ আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। তাদের এআই দক্ষতায় প্রশিক্ষিত করে তুলতে পারলে দেশের কর্মসংস্থান ধরে রাখা ও শিল্পোন্নয়ন সহজ হবে।’
বিসিআই’র সেক্রেটারি জেনারেল ড. মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশের সম্ভাবনা প্রচুর, তবে চ্যালেঞ্জও কম নয়। এআই প্রযুক্তি দ্রুত বিকশিত হচ্ছে, তাই এখনই সময় যথাযথ পরিকল্পনা ও উদ্যোগ গ্রহণের। আইএমএফের সর্বশেষ এআই সূচক অনুযায়ী, বাংলাদেশের অবস্থান ১১৩ তম, যা উন্নত দেশগুলোর তুলনায় পিছিয়ে।’
কর্মশালার আলোচকরা এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের বিভিন্ন দিক, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় এর প্রভাব এবং ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থানে এর গুরুত্ব তুলে ধরেন। অংশগ্রহণকারীদের সরাসরি প্রশ্নোত্তর সেশন ও মতামত গ্রহণের মাধ্যমে কর্মশালা শেষ হয়।
দিনব্যাপী কর্মশালায় বিসিআই সদস্য এবং দেশের বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান থেকে ২৫ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। কর্মশালার সমাপনীতে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সার্টিফিকেট বিতরণ করেন বিসিআই’র ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি প্রীতি চক্রবর্তী।