বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিদ্যমান যুদ্ধাবস্থা বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য বড় শঙ্কার কারণ না হলেও যথেষ্ট উদ্বেগের। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে উত্তেজনা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজিত শিক্ষার্থীদের বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা আঞ্চলিক সহযোগিতাকে বাধাগ্রস্ত করবে। সার্ক দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ক্রিয়, তবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এর কার্যকারিতা পুনরুদ্ধারে চেষ্টা করছেন। এই প্রেক্ষাপটে যুদ্ধাবস্থা অগ্রগতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার ভারত। ভারতের বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধায় পণ্য রফতানি করে থাকে বাংলাদেশ। ভারতের বাজারে এক বিলিয়ন ডলার রফতানির মাইলফলক ছুঁতে বাংলাদেশের ৪০ বছর সময় লেগেছিল, তবে পরবর্তী সাত বছরে তা বেড়ে দুই বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়। যদি ভারত সামরিক ব্যয় বাড়াতে বাধ্য হয়, তবে তাদের অর্থনৈতিক অগ্রাধিকার পরিবর্তন হতে পারে, যার বিরূপ প্রভাব বাংলাদেশের রফতানিতেও পড়তে পারে।
বিনিয়োগ প্রসঙ্গে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি যথেষ্ট নয়, বিনিয়োগ আকর্ষণে সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচন বিলম্বিত হলে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা তৈরি হতে পারে।’
অনুষ্ঠানে ছায়া সংসদ প্রতিযোগিতায় ‘সাম্প্রতিক বিনিয়োগ সম্মেলন বিদেশি বিনিয়োগের সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে’ প্রস্তাবের বিরোধিতা করে ইডেন কলেজের দল বিজয়ী হয়। সরকারি দলের ভূমিকায় ছিলেন ঢাকা কলেজের বিতার্কিকরা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।