সরকার সয়াবিন তেলের তুলনায় লিটারে ৪ টাকা ৮৫ পয়সা কমে রাইস ব্রান তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভর্তুকি মূল্যে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার রাইস ব্রান তেল কিনবে সরকার। প্রতি লিটার রাইস ব্রান তেলের মূল্য ধরা হয়েছে ১৬১ টাকা। একই সঙ্গে ২ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেলও কিনবে সরকার। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ধরা হয়েছে ১৬৫ টাকা ৮৫ পয়সা।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ফ্যামিলি কার্ডধারীদের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির উদ্দেশ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে এ তেল কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। সয়াবিন তেল কিনতে মোট খরচ হবে ৩৬৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং রাইস ব্রান তেল কিনতে মোট খরচ হবে ১৭৭ কোটি ১০ লাখ টাকা।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী এক কোটি পরিবারের কাছে ভর্তুকি দামে বিক্রির লক্ষ্যে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার পরিশোধিত রাইস ব্রান তেল ক্রয়ের জন্য অভ্যন্তরীণ উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হলে তিনটি দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। তিনটি দরপ্রস্তাবই আর্থিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়।
দরপ্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশে রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দুটি দরদাতা প্রতিষ্ঠান ঢাকার তামিম অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে ২০ হাজার লিটার এবং যশোরের মজুমদার ব্রান অয়েল মিলস লিমিটেড থেকে ৯০ হাজার লিটার তেল কেনার সিদ্ধান্ত নেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়া সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে আরেক প্রস্তাবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ২ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন চায়। এ প্রস্তাবটিও অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
জানা যায়, ২ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ক্রয়ের জন্য অভ্যন্তরীণ উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হলে তিনটি দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। এর মধ্যে দুটি দরপ্রস্তাব আর্থিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপ্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশে রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান ‘সোনারগাঁও সিডস ক্রাশিং মিলস’ থেকে এ সয়াবিন তেল কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।