যুক্তরাষ্ট্রে ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত থাকলেও এ সময়কে প্রস্তুতির সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাতে হবে—এমন আহ্বান জানিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, বড়দিনের আগে অর্ডার পেতে এখন থেকেই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে, অন্যথায় বিপদে পড়বে রফতানি খাত।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর বনানীতে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন বক্তারা। সভায় ব্যবসায়ী, আমদানিকারক, আমেরিকান দূতাবাসের প্রতিনিধি এবং সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
এক দিনও দেরি করা যাবে না
এপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, ‘৯০ দিনের সময়সীমা যেন আত্মতুষ্টির কারণ না হয়। এখনই জানাতে হবে বাংলাদেশ কী করছে। কারণ মৌসুমভিত্তিক পণ্য রফতানির জন্য সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি বলেন, ‘আমদানি শুল্ক পদ্ধতি এবং অশুল্ক বাধাগুলো দূর করতে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে।’
অন্য বক্তারা বলেন, যেকোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণে বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করতে হবে। আমদানিকারকরা অভিযোগ করেন, পরীক্ষাগারের স্বল্পতা এবং দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় আমদানির সময় ও খরচ দুটোই বেড়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর জন ফে বলেন, ‘৯০ দিন বেশি সময় নয়। আলোচনা ছাড়াও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। বেসরকারি খাতের সঙ্গে সমন্বয় জরুরি।’
বিকেএমইএর সাবেক সভাপতি ফজলুল হক বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের তুলা ব্যবহার করতে চাই, কিন্তু দাম ও পরিবহন ব্যয় বেশি হওয়ায় প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছি।’ তিনি মনে করেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র অগ্রাধিকারমূলক শুল্ক সুবিধা দিতে পারে।’
সরকারি প্রস্তুতি
এনবিআরের ভ্যাট সদস্য বেলাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়াতে কাজ চলছে। কিছু কোম্পানির পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে উৎস দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ইনভয়েস বাড়ানো যায় কিনা তা নিয়েও ভাবা হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশসহ বেশির ভাগ দেশের পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন। পরে তিনি তা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেন।