পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স প্রবাহে ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম পাঁচ দিনে দেশে এসেছে মাত্র ১১ কোটি ৯১ লাখ ৯০ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১ কোটি ৮০ লাখ ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকের মধ্যে একমাত্র কৃষি ব্যাংক পেয়েছে ২ কোটি ৬৪ লাখ ডলার এবং বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৭ কোটি ৪৮ লাখ ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ‘ঈদ উপলক্ষে প্রবাসীরা সাধারণত পরিবারের জন্য বাড়তি অর্থ পাঠান। ফলে মার্চ মাসজুড়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল ঐতিহাসিকভাবে ঊর্ধ্বমুখী। তবে ঈদের পর ও মাসের শুরুতে বেতন না পাওয়ায় রেমিট্যান্সে স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা ভাটা পড়ে।’
প্রসঙ্গত, সদ্যবিদায়ী মার্চ মাসে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন রেকর্ড ৩২৯ কোটি ডলার বা ৩.২৯ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪০ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা। এটি দেশের ইতিহাসে এক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রবাহ।
গত বছরের মার্চে প্রবাসী আয় ছিল ১৭১ কোটি ডলার। সে তুলনায় চলতি বছরের মার্চে রেমিট্যান্স বেড়েছে ১৫৮ কোটি ডলার। অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৭৮ কোটি ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৭০ কোটি ডলার বেশি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, হুন্ডির প্রবণতা কমে যাওয়ার পাশাপাশি খোলা বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে বৈধ পথে ডলারের মূল্য নির্ধারণ করায় প্রবাসীরা এখন ব্যাংকিং চ্যানেলেই টাকা পাঠাতে উৎসাহিত হচ্ছেন। তবে ঈদের পর রেমিট্যান্স প্রবাহে সাময়িক ধীরগতির এ ধারা মে ও জুন মাসে আবার চাঙা হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে, বিশেষ করে আসন্ন ঈদুল আজহা সামনে রেখে।