চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে দেশে কোনও প্রকার চাল আমদানি করা হয়নি। রবিবার (২৬ মে) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে জানানো হয়, খাদ্য অধিদফতর আন্তর্জাতিক দরপত্র/জিটুজির মাধ্যমে চাল ও গম আমদানি করে থাকে। চলতি ২০২৩–২০২৪ অর্থবছরে সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়ে কোনও চাল আমদানি করা হয়নি। দেশে উৎপাদিত চাল বাজারজাত করে চাহিদা পূরণ করা হয়েছে। তবে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে গম আমদানি করা হয়েছে।
সংসদ সচিবালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে জানানো হয়, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে খাদ্যের অপচয় নিরুৎসাহিত করার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমকে সম্পৃক্ত করে খাদ্য অপচয় রোধে প্রচার-প্রচারণার জন্য হোটেল-রেস্তোরাঁ, বিয়ে, পিকনিক, সামাজিক কর্মসূচি ইত্যাদি অনুষ্ঠানে খাদ্য অপচয় রোধকল্পে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। ইতোমধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে খাদ্যের ভেজালসহ সব অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে একটি টাস্কফোর্স গঠনের উদ্যোগ নেওয়ায় কমিটির পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানানো হয়।
বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিদেশ থেকে আমদানি করা খাদ্যশস্যের যথাযথ মান নিয়ন্ত্রণের প্রতি অধিক গুরুত্বারোপ করা এবং ভেজালমুক্ত খাদ্য বাজারজাত করার প্রতি বিশেষ নজরদারি নিশ্চিত করার সুপারিশ করে কমিটি।
কমিটির সভাপতি শাজাহান খানের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য খাদ্যমন্ত্রী সাধান চন্দ্র মজুমদার, মো. মকবুল হোসেন, মো. মোস্তফা আলম, আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী, এস. এম কামাল হোসেন, খাঁন মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদী এবং দ্রৌপদী দেবী আগরওয়ালা বৈঠকে অংশ নেন।