তরুণদের বন্যপ্রাণীর ক্ষতি না করার শপথ করালেন প্রধান বন সংরক্ষক

দুই শতাধীক তরুণ গ্র্যাজুয়েটকে বন্যপ্রাণী হত্যা বা ক্ষতি না করার জন্য শপথ করান বাংলাদেশ বন বিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক মোহাম্মদ আমীর হোসাইন চৌধুরী। ইউএসএআইডি ও ইউএসফরেস্ট সার্ভিসের যৌথ পার্টনারশিপে পরিচালিত কম্পাস প্রকল্পের ইয়ুথ কনসারভেশন কোরের ৬ষ্ঠ কোহর্টের গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এই শপথ পরিচালনা করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি তরুণদের বন সংরক্ষণ ও প্রাণ প্রতিবেশ রক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, 'তরুণরাই সমাজ পরিবর্তনের চালিকাশক্তি এবং তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা আমার গুরুত্বপূর্ণ কাজ। আমরা বন বিভাগের পক্ষ থেকে কম্পাস প্রকল্পকে অভিনন্দন জানাই।'

অনুষ্ঠানে ইউএসএআইডি এর ইকোনমিক গ্রোথ ডিরেক্টর ড. মোহাম্মদ খান ওয়াইসিসি গ্র্যাজুয়েটদের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করায় অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, 'এটা ওয়াইসিসি ও ইউএসএআইডিএর জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত। এই ২৩২ জন তরুণ নেতৃত্ব এখন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে কাজ করবে।'

বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে বক্তব্য রেখেছেন ইউএসফরেস্ট সার্ভিস আন্তর্জাতিক কর্মসূচির সহকারী পরিচালক জাস্টিন গ্রিন। তিনি কম্পাস প্রকল্পে বাংলাদেশ বন বিভাগের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং ওয়াইসিসি কর্মসূচির স্থায়িত্বশীলতা বাড়াতে সহযোগিতা সম্প্রসারণের আহ্বান জানান।

গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বন বিভাগের যুগ্ম প্রধান বন সংরক্ষক ড. জগলুল হোসেন এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল হুইলচেয়ার ক্রিকেট টিমের অধিনায় মো. মহসিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বন বিভাগের চট্টগ্রাম সার্কেলের বন সংরক্ষক বিপুল কৃষ্ন দাস এবং পরিচালনা করেন ওয়াইসিসি স্পেশালিস্ট মোফাক খারুল তৌফিক।

উল্লেখ্য, ওয়াইসিসি বাংলাদেশ ২০২০ সাল থেকে কক্সবাজার এবং বান্দরবানের তরুণদের পরিবেশ, জলবায়ু এ জীবীকা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ প্রদান করে আসছে। ওয়াইসিসি স্থানীয় সংস্থা ইপসা, এটিআই কক্সবাজার, তাজিংডং, গ্রিন সেভার্স ও সিপিজে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় ছয়টি কোহোর্টের ছয় মাসব্যাপী আবাসিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছে।