স্টার্টআপ সংস্কৃতি বিকাশে সহযোগিতা দেবে জাপান

স্টার্টআপ সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশ-জাপান স্টার্টআপ বিনিময় করবে।  সোমবার (৩০ জানুয়ারি) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে তার দফতরে বৈঠক করেন।

এ সময় তারা দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষ করে আইসিটি খাতে যৌথ-সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা স্টার্টআপ, উদ্ভাবন ও গবেষণার ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি। তিনি স্টার্টআপ সংস্কৃতির বিকাশে বাংলাদেশ-জাপান স্টার্টআপ বিনিময়, জাপান-বাংলাদেশ আইটি সামিট, জাপান-বাংলাদেশ আইটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়ে প্রস্তাব করেন। বাংলাদেশের ২৫টি স্টার্টআপ এবং জাপানের ২৫টি স্টার্টআপ মোট ৫০টি স্টার্টআপ বিনিময়ের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত একমত পোষণ করেন।

এছাড়া বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি করাসহ অন্যান্য বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত।

জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ সরকার দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশ ও জাপানের একসঙ্গে কাজ করার বেশ সুযোগ রয়েছে। এসময় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রনজিত কুমারসহ আইসিটি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

স্পারসো-এটুআই সমঝোতা স্মারক সই

মহাকাশ বিজ্ঞান ও দূর অনুধাবন প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং এ সংক্রান্ত গবেষণা-উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান (স্পারসো) এবং এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রোগ্রাম’র মধ্যে সোমবার বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটরিয়ামে এক সমঝোতা স্মারক সই হয়। স্পারসোর চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সামাদ ও এটুআই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন।

অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব গোলাম মো: হাসিবুল আলম।