স্টার্টআপ ওয়ার্ল্ড কাপের চূড়ান্ত পর্বে যাচ্ছে রেপটো

বিজয়ীদের সঙ্গে অতিথিরাযুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালিতে অনুষ্ঠিতব্য ‘স্টার্টআপ ওয়ার্ল্ড কাপ ২০১৯’ -এর গ্র্যান্ড ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে রেপটো। আগামী ১৭ মে চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার বাংলাদেশ পর্বে বিজয়ী হয় লার্নি, আর্নি ও নলেজ শেয়ারিং তথা এডুকেশন প্ল্যাটফর্ম রেপটো। এছাড়া প্রথম ও দ্বিতীয় রানার্স আপ হয় যথাক্রমে বঙ্গ ও সোলশেয়ার।

ফেনক্স ভেঞ্চার ক্যাপিটাল আয়োজিত ‘ই-জেনারেশন প্রেজেন্টস স্টার্টআপ ওয়ার্ল্ড কাপ ২০১৯, বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিযোগিতাটি এ বছর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়, যার মাধ্যমে দেশসেরা প্রযুক্তি স্টার্টআপ খুঁজে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে। সিলিকন ভ্যালির চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন দেশের ৩৯ আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা অংশগ্রহণ করবে। সিলিকন ভ্যালিভিত্তিক শীর্ষস্থানীয় ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠান ফেনক্স ভেঞ্চার ক্যাপিটাল সম্প্রতি ম্যাটারমার্ক সিড স্টেজ প্রকাশিত আন্তর্জাতিক র‍্যাংকিংয়ে ১৬তম স্থান অধিকার করেছে।

বাংলাদেশ পর্বের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য সুযোগ তৈরির জন্য ফেনক্স এবং ইজেনারেশনকে ধন্যবাদ জানাই। আমি প্রত্যাশা করি বাংলাদেশি তরুণ উদ্যোক্তাদের কঠোর পরিশ্রম, অঙ্গীকার ও উচ্চাকাঙ্খা সিলিকন ভ্যালিতে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় ভালো স্বীকৃতি পাবে। 

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম তৈরিতে অবদানের জন্য স্টার্টআপ ঢাকা, গ্রামীণফোন লিমিটেড, মাইক্রোসফট বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসকে (বেসিস) ‘ইজেনারেশন স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয়।

প্রতিযোগিতার সহ-আয়োজক হিসেবে ছিলো বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরাম (বিআইএফ)। এছাড়া অংশীদার হিসেবে ছিল ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইক্যুইটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশে (ভিসিপিয়াব), টাই ঢাকা এবং ইও বাংলাদেশ। এই উদ্যোগের সাপোর্টিং পার্টনার হিসেবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, নলেজ পার্টনার হিসেবে ইউএনডিপি এবং মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিলো আরটিভি।

ফেনক্স ভেঞ্চার ক্যাপিটালের জেনারেল পার্টনার ও ই-জেনারেশন গ্রুপের চেয়ারম্যান শামীম আহসান বলেন, এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে বাংলাদেশে স্টার্টআপের নতুন মাত্রা দেখতে পেরেছি। স্থানীয় স্টার্টআপগুলো প্রাযুক্তিক বিপ্লবের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাচ্ছে এবং সফলতার সেরা অবস্থানে যাচ্ছে। আমরা স্টার্টআপ ওয়ার্ল্ড কাপের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় রেপটোর বিষয়ে খুবই আশাবাদী।

এর আগে ৮৬টি আবেদনের মধ্যে ১০ ফাইনালিস্ট নির্বাচন করা হয় যারা বাংলাদেশ ফাইনালে অংশ নেয়। এগুলো হলো- আমার আস্থা, বঙ্গ, গেজ, জেমসক্লিপ, হ্যান্ডিমামা, হ্যালোটাস্ক, জোবাইক, রেপটো, সোলশেয়ার ও যান্ত্রিক। বিচারকদের সামনে নিজেদের ব্যবসাকে তুলে ধরেন প্রতিযোগীরা।