নেপালে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়েও হেরে সিরিজ খোঁয়ালো বাংলাদেশ

তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুললেও সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে নেপালের কাছে হেরে গেলো বাংলাদেশ জাতীয় নারী কাবাডি দল। ২১-১৭ পয়েন্টে বাংলাদেশকে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতলো স্বাগতিক নেপাল। তবে এই ম্যাচে বাজে রেফারিংয়ের অভিযোগ এনেছে বাংলাদেশ দল। নেপালের  অব্যবস্থাপনা চোখে পড়েছে। সময় শেষ হওয়ার আগেই ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজিয়েছেন রেফারি। বাংলাদেশ দল এ নিয়ে আপত্তি জানালে আবার খেলা শুরু হয়। 

সিরিজে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচে জয় পায় নেপাল। এরপর তৃতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজে টিকে থাকে বাংলাদেশ। সিরিজ জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখতে আজ জয় ছাড়া বিকল্প ছিল না বাংলাদেশের সামনে। ললিতপুরের সাতদোবাতোয় তায়কোয়ান্দো হলে অনুষ্ঠিত ম্যাচে শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছে বাংলাদেশ দলকে। প্রথমেই ৩-০ পয়েন্টে এগিয়ে যায় শ্রাবণী, বৃষ্টিরা।
তবে নেপালও গুছিয়ে উঠে ম্যাচে এগিয়ে যেতে থাকে। 

হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা। মাত্র এক পয়েন্টে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। নেপালের ১০ পয়েন্ট। আর বাংলাদেশের ছিল ৯ পয়েন্ট। 

দ্বিতীয়ার্ধে সমানতালে এগিয়ে যায় খেলা। একটা সময় দুই দলের পয়েন্ট ছিল সমান ১৪। এরপর নেপাল কিছু পয়েন্ট আদায় করে নেয়। ম্যাচে রেফারির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপত্তি জানাতে থাকে বাংলাদেশ দল। ম্যাচে শেষে বাংলাদেশ দলের কোচ শাহনাজ পারভীন মালেকা বলেন, ‘আমাদের মেয়েরা শুরু থেকেই ভালো খেলছিল। কিন্তু ম্যাচে যা দেখলাম, আমাদের মেয়েরা টাচ করছে সঙ্গে বোনাস পাচ্ছে। কিন্তু রেফারি বোনাস দিচ্ছে না। বাজে রেফারিংয়ের কারণে আমরা আজ ম্যাচটা হারলাম। এরপর খেলা শেষ হওয়ার দুই মিনিট বাকি থাকতেই রেফারি শেষ বাঁশি বাজিয়ে দেয়। বারবার রেফারি ভুল করেছে। আমাদের অনেকগুলো টেকনিক্যাল পয়েন্ট দেয়নি। স্বাগতিক হওয়ার কারণে রেফারি প্রথম থেকেই ওদেরকে বাড়তি সুবিধা দিচ্ছিল। আমাদের রিভিউগুলা আনসাকসেসফুল দেখাচ্ছে আর নেপালের সাকসেস দেখাচ্ছে। পয়েন্ট না দেওয়ার কারণে আমাদের মেয়েরা চাপে ছিল। আর এই চাপ দলের ওপর প্রভাব ফেলেছে। চার থেকে পাঁচটা বোনাস পয়েন্ট আমাদের দেওয়া হয়নি। দর্শকরাও মাঠ থেকে বলছিল বাংলাদেশ পয়েন্ট পায়। কিন্তু দেওয়া হচ্ছে না।’ 

পাঁচ ম্যাচের সিরিজে নেপাল এখন ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে। আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচ।