পাকিস্তানের তিনটি শহরে আগামী ২৩ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত হবে ১৪তম সাউথ এশিয়ান গেমস। সেখানে এবার রেকর্ড ২৮টি ডিসিপ্লিন থাকছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ অংশ নেবে ২৫টিতে।
২৫টি ডিসিপ্লিনের মধ্যে ১৭টি ব্যক্তিগত: অ্যাথলেটিকস, আর্চারি, ব্যাডমিন্টন, বক্সিং, ফেন্সিং, গলফ, জুডো, কারাতে, শুটিং, স্কোয়াশ, টেবিল টেনিস তায়কোয়ান্দো, টেনিস, সাঁতার, ভারোত্তোলন, কুস্তি ও উশ। বাকি আটটি ইভেন্ট দলগত: বাস্কেটবল, ক্রিকেট, হকি, ফুটবল, হ্যান্ডবল, কাবাডি, রাগবি ও ভলিবল।
বিওএ বিলিয়ার্ডস ও স্নুকার, ট্রায়ালথন ও রোয়িংয়ে প্রতিযোগিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গেমসের প্রস্তুতির জন্য বিওএ ব্যক্তিগত ইভেন্টের ১৭টি ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করেন। তাদের প্রস্তুতির বর্তমান অবস্থা, ট্রেনিংয়ে কী কী প্রয়োজন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানাই ছিল এই সভার বিষয়বস্তু। বেশিরভাগ ফেডারেশন আঞ্চলিক এই প্রতিযোগিতায় অ্যাথলেটদের পারফরম্যান্সের মান বাড়াতে বিদেশি কোচের প্রয়োজনীয়তা ব্যক্ত করেছেন।
এসএ গেমসের ইতিহাসে ২০১৯ সালে রেকর্ড ২০টি স্বর্ণ জিতেছিল বাংলাদেশ। বিওএ ডিরেক্টর সেক্রেটারি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এ বি এম শেফাউল কবীর ফেডারেশনের সঙ্গে বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমাদের চাহিদা সম্পর্কে জানতে একসঙ্গে বসেছিলাম। ১৭ ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে আমরা আমাদের মতবিনিময় করেছি। ১৩ এপ্রিল দলীয় গেমসের ফেডারেশন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসবো। ২৩ এপ্রিল বিওএ নির্বাহী কমিটির বৈঠক শেষে এই দুটি সভার ফল জানাবো।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘এসএ গেমসে আমরা ২৫টি ডিসিপ্লিনে অংশ নেব। গেমস নিয়ে আজ প্রথম সভা হয়েছে। ফেডারেশনগুলোর চাওয়া আমরা জানলাম। আমরা হোমওয়ার্ক করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাব ফেডারেশনগুলোকে।’
কবীর জানান, সবাই বিদেশি কোচ চাওয়ার পাশাপাশি কেউ বিদেশে প্রশিক্ষণের সুযোগ চেয়েছে। আবার কারও চাওয়া বিওএ থেকে আর্থিক সহযোগিতা।